ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশে ইআরপি সফটওয়্যারের বাজার সম্ভাবনা ১ হাজার কোটি টাকা

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৬
বাংলাদেশে ইআরপি সফটওয়্যারের বাজার সম্ভাবনা ১ হাজার কোটি টাকা

এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ইআরপি) সফটওয়্যারের প্রসার ঘটাতে পারলে বাংলাদেশে এক হাজার কোটি টাকার নতুন বাজার তৈরী সম্ভব এ প্রত্যয় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) বর্তমান যুগ্ন মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের।

তার মতে দেশের পোশাক শিল্প, বিভিন্ন শিল্প কারখানা, শিক্ষা ক্ষেত্র সহ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইআরপি‘কে পরিচিত করানোর সুযোগ রয়েছে।

এসব বড় প্রতিষ্ঠানের সকল বিভাগের কার্যক্রম এক ব্যবস্থাপনায় নির্বাহ করতে পারে ইআরপি।

১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে যুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান সফটওয়্যার প্রস্ত্ততকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্সড ইআরপি এর সিইও এবং সিগমা সিস্টেম, শাদীবাজার ডটকমের প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন।

বড়মাপের প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার উন্নয়ন করে অ্যাডভান্স ইআরপি। আর সিগমা সিস্টেম ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার এবং ব্যবসায়িক ফলাফল পর্যালোচনা ব্যবস্থাপনার জন্য বিজনেস ইন্টিলিজেন্স স্যুইট (বিআইএস) উন্নয়ন করে। আর বিবাহ ব্যবস্থাপনায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু প্রযুক্তিকেন্দ্রিক সমাধান দেয় শাদী বাজার ডটকম।

দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা আর দেশের বাজার পর্যবেক্ষণ করেই ইআরপি’তে এমন সম্ভাবনার আলো দেখেছেন এই আইটি এক্সপার্ট।

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিকে পরিচয় করানোর দিনগুলোকে স্মৃতিচারণ করে রহমান বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কর্মকর্তাদের সফটওয়্যার উন্নয়নের কথা বলতাম, তারা বলতো এটা কি জিনিস। ধরা যায় না দেখা যায়না আমরা তো কম্পিউটার, প্রিন্টার ব্যবহার করছি।

বর্তমান বেসিসের যুগ্ন মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান আসন্ন ২০১৬-১৯ মেয়াদের নির্বাচনে মোস্তাফা জব্বারের নেতৃত্বে ডিজিটাল ব্রিগেড প্যানেলের প্রার্থী।
নির্বাচন নিয়ে রয়েছে তার তিনটি প্রতিশ্রুতি। যার একটি সরকারি ক্রয় নীতিমালাকে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান-বান্ধব করার প্রচেষ্টা, বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সাহায্যের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য উল্লেখযোগ্য ভাগ বরাদ্দ রাখা এবং আইসিটি সেক্টরে একটি গবেষণা উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) কেন্দ্র স্থাপন করা।

বেসিসে দায়িত্ব পালনকালে কমিটির অবদান সম্পর্কে তিনি বলেন, স্থানীয় আইটি কোম্পানিগুলোর জন্য অর্থ যোগান দেয়ায় পেছনে অবদান, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে অনাগ্রহী অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগ্রহী করে তুলতে চেষ্টা করেছি। আমাদের মেয়াদে ১৯টি বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠান ৪০ কোটি টাকার সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পেয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠনের সদস্যদের ব্যবসায়িক প্রসারের জন্য থোক বরাদ্দ দিয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রি-ফিন্যান্সিং প্রকল্পের আওতায় বেসিসের পক্ষ থেকে ২০০-৩০০ কোটি টাকার একটি বরাদ্দ পেতে আমরা কাজ করছি। চুড়ান্ত হলে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক সংখ্যার সুদ হারে ঋণ সুবিধা দিতে পারবো।

অচিরেই, আরও দুটি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষায়িত ঋণ সুবিধা নিয়ে আসবে বলে জানান মি রহমান।

প্রসঙ্গত,  কৈশার থেকে নেতৃত্বকে ভালবাসা এ মানুষটি ব্যবসায়িক পর্যায়ে এসেও বিভিন্ন সংগঠনের সাথে রয়েছেন। জুনিয়র চেম্বার আন্তর্জাতিকের (জেসিআই) সভাপতি ছিলেন তিনি। এছাড়া রোটারি ক্লাবের একটি চ্যাপ্টারের সভাপতি, এফবিসিসিআই এর স্থায়ী পরিষদের সদস্য এবং ডিসিসিআই এর গভর্নিং বডি মেম্বার হিসেবে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।

এসব সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার ফলেই বেসিসের নির্বাহী পরিষদে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
বাংলাদেশে স্থানীয় প্রযুক্তিতে ইআরপি সফটওয়্যার প্রস্তুত করে মোস্তাফিজুর রহমানের প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্সড ইআরপি ইতোমধ্যে মালয়শিয়া ও কুয়েতে কার্যক্রম শুরু করেছে। মালয়শিয়ার সরকারের একটি জয়েন্ট স্টক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় ব্যবহার হচ্ছে অ্যাডভান্সড ইআরপি সফটওয়্যার। এ বছরের মধ্য ভারতে এবং আগামীতে মায়ানমার কাজ শুরুর ইচ্ছা রয়েছে।

বাংলাদেশি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে তার আশা আরএমসি সেক্টরের পর সফটওয়্যারের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে বিশ্বে সুপরিচিত করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৬
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।