ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

গ্রামীণফোন সেন্টারে হ্যান্ডসেট রিসাইক্লিংয়ের সুবিধা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৭
গ্রামীণফোন সেন্টারে হ্যান্ডসেট রিসাইক্লিংয়ের সুবিধা

ঢাকা: বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে গ্রামীণফোন সেন্টারে ‘মোবাইল হ্যান্ডসেট রিসাইক্লিং’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে অপারেটরটি। 
 
 

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রাইসুল আলম মন্ডল এবং বিটিআরসি’র মহাপরিচালক (স্পেকট্রাম বিভাগ) মো. নাসিম পারভেজ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।  
 
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি এবং চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন।


 
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, গ্রামীণফোনের হ্যান্ডসেট রিসাইক্লিংয়ের উদ্যোগ বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।  
 
অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদেরকেও এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত করার আহ্বান জানান পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক।  
 
কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণফোন আগ্রহীদের অব্যবহৃত বা বাতিল মোবাইল হ্যান্ডসেট নিকটস্থ গ্রামীণফোন সেন্টারে ড্রপবক্সে জমা দিতে আহ্বান জানায়। গ্রামীণফোন এসব অব্যবহৃত ও বাতিল হ্যান্ডসেট আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে রিসাইকেল করবে অর্থাৎ ডিভাইসগুলো ভেঙ্গে এর বিভিন্ন উপাদান ফের ব্যবহার উপযোগী করবে।
 
এক্ষেত্রে ডিভাইসের মধ্যে পুনর্ব্যবহারের উপযোগী সব উপকরণসহ সম্ভাব্য ক্ষতিকর সব উপাদান সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত নিশ্চিত করা হবে। রিসাইক্লিংয়ের এ প্রক্রিয়া দেশ ও দেশের বাইরে আইএসও ১৪০০০, ওএসএইচএএস ১৮০০০ এবং আর২ স্ট্যান্ডার্ড মেনে করা হবে।  
 
সারাদেশে বছর জুড়ে দেশের সব গ্রামীণফোন সেন্টার ও গ্রামীণফোনের সার্কেল অফিসে হ্যান্ডসেটগুলো জমা নেওয়া হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় অপারেটরটি।
 
কর্মসূচি নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী বলেন, দায়িত্বশীল করপোরেট নাগরিক হিসেবে গ্রামীণফোন পরিবেশের ওপর এর পরিচালনার নেতিবাচক প্রভাব কমাতে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এর সব কর্মী, গ্রাহক এবং অংশীদাররা যাতে এক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন এজন্য তাদের অনুপ্রাণিত করে।  
  
মোবাইল হ্যান্ডসেটে পারদ, ক্যাডমিয়াম, সীসা, বেরিলিয়াম এবং অগ্নি প্রতিরোধকসহ একাধিক ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। এসব হ্যান্ডসেট সঠিকভাবে ধ্বংস না করা হলে কিংবা মাটিতে মিশে গেলে মোবাইল হ্যান্ডসেট থেকে নির্গত ক্ষতিকর উপাদান মাটি ও খাওয়ার পানি দূষিত করতে পারে।  
 
একটি মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত ক্যাডমিয়ামই ছয় হাজার লিটার পানি দূষণের জন্য যথেষ্ট।  
 
মোবাইল ফোন তৈরিতে ব্যবহৃত অগ্নি প্রতিরোধক উপাদান, সীসা ও বেরিলিয়াম ক্যান্সার, যকৃত এবং স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতিসহ অনেক ঝুঁকিপূর্ণ রোগের কারণ হতে পারে।  
 
এর ডিসপ্লে ও সার্কিট বোর্ডে ব্যবহৃত পারদ মস্তিষ্ক ও কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এক চা চামচ পরিমাণ পারদ বিশ একরের একটি লেকের পানি আজীবনের জন্য দূষিত করে ফেলতে পারে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।