ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অপারেটরদের ‘ফাঁকির’ বিষয়ে জানতে চায় টেলিযোগাযোগ বিভাগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৭
অপারেটরদের ‘ফাঁকির’ বিষয়ে জানতে চায় টেলিযোগাযোগ বিভাগ

ঢাকা: মোবাইল ফোন অপারেটরদের ভয়েস কল ও ইন্টারনেট প্যাকেজে কোনো শুভঙ্করের ফাঁকি আছে কিনা এবং গ্রাহকের অভিযোগ সমাধানে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা জানতে বিটিআরসিকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উচ্চমূল্যের পাশাপাশি ইন্টারনেট ধীরগতি, নেটওয়ার্ক সমস্যা, কলড্রপসহ নানা অভিযোগ করে আসছেন।
 
এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগের উপসচিব মাজেদা ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত এ চিঠি বিটিআরসি চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে।


 
চিঠিতে বলা হয়, মোবাইল ফোন অপারেটররা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সময়ে আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার দিয়ে থাকে। এসব প্যাকেজ নিয়ে ভোক্তারা নানা অভিযোগ উত্থাপন করে থাকে।
 
‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এবং অভিযোগ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা বাঞ্ছনীয়। ’
 
মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিভিন্ন প্যাকেজ মূল্যায়ন করে বিভিন্ন অফারে নির্ধারিত মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে কিনা, ভোক্তা কোনভাবে প্রতারিত হচ্ছে কিনা বা অফারে কোনো শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে কিনা- চিঠিতে তা জানাতে বলা হয়েছে।
 
এছাড়া ভোক্তাদের অভিযোগ করে থাকলে তা সমাধান হয়েছে কিনা, না হয়ে থাকলে বিটিআরসি কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদনে দিতে বলা হয়েছে।
 
মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিভিন্ন প্যাকেজের শর্ত যাচাই করে আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
 
বিটিআরসির সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসের তথ্যানুযায়ী দেশে ছয়টি অপারেটরের মোট ১২ কোটি ৯৫ লাখ ৮৪ হাজার গ্রাহক রয়েছে।
 
এরমধ্যে গ্রামীণফোনের ৫ কোটি ৯৩ লাখ, একীভূত হওয়ার পর রবি-এয়ারটেল মিলে ৩ কোটি ৫০ লাখ, বাংলালিংকের ৩ কোটি ১৩ লাখ এবং রাষ্ট্রয়াত্ব অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ লাখ। আর ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৬ কোটি ৭২ লাখ ৪৫ হাজার।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭ 
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।