ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

রগরগে বাংলা অ্যাপসে উঠতি বয়সীরা বিপথে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
রগরগে বাংলা অ্যাপসে উঠতি বয়সীরা বিপথে ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: রগরগে ছবি ও কনটেন্ট ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে স্মার্টফোনের বাংলা অ্যাপস। আর এসব অ্যাপ ডাউনলোড করে বিপথে যাচ্ছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা।

এসব অ্যাপ যেমন বিপথে টানছে, তেমনি প্রযুক্তির বাজারে সেগুলোর ভবিষ্যত নেই বলেও সতর্ক করছেন প্রযুক্তিবিদ ও অ্যাপস নির্মাতারা। আর এতে সম্ভাবনাময় অ্যাপের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ারই শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ নিয়ে তাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রযুক্তিবিদরাও।

প্রযুক্তির প্রসারে দেশের তরুণ প্রযুক্তিবিদরা জনপ্রিয় বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ তৈরি করে আসছে। এরমধ্যে দৈনন্দিন ব্যবহারিক অ্যাপস ছাড়াও বাণিজ্যিক অ্যাপও রয়েছে।

বর্তমানে দেশের প্রযুক্তিবিদদের তৈরি এক লাখের বেশি অ্যাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাপ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ইজি টেকনোলজি লিমিটেডের ফাউন্ডার এবং সিইও মফিজুর রহমান টিপু।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য এসব অ্যাপ তৈরি করা হলেও এতোদিন সেগুলোর বাণিজ্যিক কার্যক্রম ছিল না। অর্থাৎ অ্যাপ নির্মাতারা আর্থিকভাবে লাভবান হতেন না।

গুগলের সাপোর্ট সেন্টার ‘লোকেশনস ফর ডেভেলপার অ্যান্ড মার্চেন্ট রেজিস্ট্রেশন’ বিভাগে ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের নাম যুক্ত করে। এর ফলে বাংলাদেশের অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপাররা বাংলাদেশ থেকে এ টেক জায়ান্টের অ্যাপ্লিকেশন বাজার ‘গুগল প্লে’তে অ্যাপ বিক্রি করতে পারবে বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

কিন্তু এই সম্ভাবনার মধ্যে প্লে স্টোরে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের শীর্ষের তালিকায় অনেক অ্যাপ দেখা যায়, যেগুলো পর্ন বা যৌন উত্তেজক হিসেবেই ব্যবহার করেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের একটি অংশ। আর ডাউনলোডের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে সেগুলো শীর্ষে উঠে আসছে।

প্রযুক্তিবিদ মফিজুর রহমান টিপু বাংলানিউজকে বলেন, যেহেতু  অ্যাপের বাজার তৈরি হয়েছে, এখন এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

‘কিছু কিছু অ্যাপ ভালো না, সেগুলো টপচার্টে থাকে। বাংলা কনটেন্ট হওয়ার কারণে ডাউনলোডও বেশি হয়। এগুলো ভবিষ্যতের জন্য খারাপ। এখন ডেভেলপারদের সিস্টেমটা পরিবর্তন হবে। ’

রগরগা ছবি ব্যবহারের ফলে সহজেই তা আকৃষ্ট হতে পারে এবং তাতে গুণগতমানের অ্যাপ প্রস্তুতকারকদের হতাশা তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন টিপু।

এসব অ্যাপের বিষয়ে সচেতনতা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আর্কাডিও এর সিইও রাফিউর রহমান।

তিনি বলেন, এসব অ্যাপে রিপোর্ট করলে বন্ধ হয়ে যেতো। এ বিষয়ে মার্কেটিং পলিসি বুঝতে হবে।

অ্যাপ তৈরি ও ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা জরুরি বলে মনে করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি মোস্তফা জব্বার।

প্রত্যেকটা জিনিসের ভালো ও খারাপ দিক আছে জানিয়ে তিনি বলেন, নানামুখী কাজের মধ্য দিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পারিবারিক, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

তবে এসব যৌন উত্তেজক অ্যাপ থেকে গুণগতমানের অ্যাপের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ভয় নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যেটি সমাজকে নষ্ট করে সেটি প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে।

আর এ কাজে সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে সরকারের এ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।