ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সেবার মানোন্নয়নে জোর দিচ্ছে বিটিআরসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
সেবার মানোন্নয়নে জোর দিচ্ছে বিটিআরসি বিটিআরসি ভবনে মতবিনিময় সভা

ঢাকা: টেলিযোগাযোগ খাতে ২০১৮ সাল অর্জন ও সফলতার বছর ছিলো উল্লেখ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক জানিয়েছেন, চলতি বছরে তারা সেবার মান উন্নত করার ওপরই জোর দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ক্ষমা কিংবা অজুহাত গ্রাহ্য করবে না বিটিআরসি।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রমনায় বিটিআরসি ভবনে টেলিকম রিপোটার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিটিআরসি চেয়ারম্যান ২০১৯ সালের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন। এ সময় বিটিআরসির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

 

এ বছরের লক্ষ্য নিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, এমএনপি (এক নম্বরে সব অপারেটরের সেবা) গতি বৃদ্ধির ব্যবস্থা, টাওয়ার শেয়ারিংয়ের ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি যেন না থাকে তার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কোয়ালিটি অব সার্ভিসের ব্যাপারে তারা খুব তৎপর।

‘যার কোয়ালিটি খারাপ তাকে আমরা নোটিশ দিচ্ছি, শোকজ করছি। প্রয়োজন হলে আইনানুগ আচরণ করবো। এ বছর কোয়ালিটি ডেভেলপ করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজি আছি। ’

বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দেব কোয়ালিটির ওপরে, কোয়ালিটি নিয়ে অনেক কমপ্লেইন হয়, কলড্রপ হয়। মাননীয় মন্ত্রী বলেন আমি মন্ত্রী আপনি চেয়ারম্যান। আপনার সঙ্গে কথা বললাম তাও ড্রপ হয়ে গেল, আর কোথায় কী হবে!

বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, কোয়ালিটি অব সার্ভিসের বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি চিঠি ইস্যু করবো। যেটায় বলা হবে কোয়ালিটি অব সার্ভিস বাড়াতে হবে। অন্যথায় সার্ভিসের একটা অংশ কেটে ফেলবো।

‘গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে পারবেন না বা এই এলাকায় সার্ভিস দিতে পারবেন না বা এই মেজারমেন্টের নিচে বা উপরে অপারেট করতে পারবেন না। এটা নিয়ে কথা হচ্ছে- এটা নিয়ে শিগগিরই করে ফেলব। ’

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, অপারেটরদের কোয়ালিটি র‌্যাংকিংয়ের জন্য একটি কোম্পানি নিয়োগ করা হচ্ছে, যার ফলাফল দিয়ে র‌্যাংকিং করা হবে। এর ফলাফল ওয়েবসাইটে থাকবে, যার ওপর ভিত্তি করে গ্রাহক অপারেটর পছন্দ করবে। ২০১৯ সালের মধ্যেই তা করে ফেলতে পারবো।

চেয়ারম্যান আরো বলেন, কোয়ালিটির জন্য স্পেকট্রাম থাকতে হবে। অপরেটররা বুঝতে পেরেছে স্পেকট্রাম কম থাকলে কোয়ালিটি ডেভেলপ করা যাবে না। এজন্য তারা চেষ্টা করছে আলোচনার জন্য, দেখবে কী করা যায়। কোয়ালিটি ডেভেলপ করতেই হবে, কোনো মার্সি নাই।

প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে গত বছরের ১৪ নভেম্বর এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) প্রবিধানমালা অনুমোদিত হয়েছে জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, এটা হয়ে গেলে ‘ইক্যুয়ালিটি বিফোর ল’ সেটা থাকবে। মনোপলি কারো থাকবে না। সবাই ব্যবসা করতে পারবে। এটা নিয়ে অতিসত্ত্বর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবো। আগামী কমিশন মিটিংয়েই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে যাবে বলে আশা করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

প্রসঙ্গক্রমে চেয়ারম্যান বলেন, এসএমপি করছি, ৪০ (অপারেটরের মার্কেট শেয়ার) শতাংশের বেশি কেউ হবে না। যার ৪২ শতাংশ আছে, ৪৪ শতাংশ আছে তাকে তো মাইনাস করতে পারছি না।

বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, থ্রি-জি লাইসেন্সের জন্য অপারেটরের স্কোপ রাখা হয়েছিল। কিন্তু বাইরের কোনো অপারেটর আসেনি। ছোট অপারেটরগুলো হুমকির মুখে আছে যে বড় অপারেটরকে চ্যালেঞ্জ করে টিকে থাকা। বড় অপারেটর যেন লিমিট ক্রস করতে না পারে সে কারণেই এয়ারটেল সারভাইব করতে পারেনি। আমার মনে হয় না নতুন কোনো অপারেটর আসবে। এজন্য কোয়ালিটি অব সার্ভিসের ওপর জোর দিতে হবে।

ঢাকা শহরের ইনফ্রাকচারের কারণে কোয়ালিটির হ্যাম্পার হয় জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
 
টিআরএনবি সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিটিআরসির কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।