ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ঢাকায় সিটিও’র কাউন্সিল-বার্ষিক ফোরাম শুরু ৩০ সেপ্টেম্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
ঢাকায় সিটিও’র কাউন্সিল-বার্ষিক ফোরাম শুরু ৩০ সেপ্টেম্বর

ঢাকা: ঢাকায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার (সিটিও) পাঁচ দিনব্যাপী ৫৯তম কাউন্সিল সভা ও বার্ষিক ফোরাম।

ফোরামে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী, সচিব, রেগুলেটর প্রধান, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা এবং এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ প্রতিনিধি অংশ নেবেন।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।

এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমত উল্লাহ্ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস।
 
এছাড়া সিটিও চেয়ারম্যান ও ফিজির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থ, গণ উদ্যোক্তা, জনসেবা, যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রী এবং দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল আইয়াজ সৈয়দ খাইয়ুম ও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিউ) উপ-মহাসচিব মেলকম জনসন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন।

উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক এবং কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গিসা ফুয়াতাই পারসেল। ফোরামের বিভিন্ন কর্ম অধিবেশন এবং কাউন্সিল মিটিং একই ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা করার জন্য কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গিসা ফুয়াতাই পারসেল এবং সংস্থাটির আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক রবার্ট হেম্যান ছয় দিনের সফরে ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসেছেন। ঢাকায় অবস্থানকালে তারা এ বিষয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। বিটিআরসি’র সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম হুমায়ূন কবির সম্পূর্ণ বিষয়টি সমন্বয় করছেন।

বিষয়টি জানিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসি’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন উইং) মো. জাকির হোসেন খাঁন বাংলানিউজকে বলেন, সিটিও বার্ষিক ফোরামে কমনওয়লেথভুক্ত দেশগুলোর সরকার, নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান, অপারেটর, ইন্ডাস্ট্রি তথা সব স্টেকহোল্ডারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। এবারের এ ফোরামে ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য ব্রডব্যান্ড পরিকল্পনা, বৈশ্বিক সেবা তহবিলের পরিবর্তিত ধরণ, ওভার দ্যা টপ সেবা, তরঙ্গ নিরপেক্ষতার প্রভাব, সাইবার নিরাপত্তা, ডাটা সুরক্ষা নীতিমালা, ব্লক চেইন ও বৈশ্বিক সুবিধা, তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে তারুণ্যসহ বিবিধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘টুওয়ার্ডস এ ডিজিটাল কমনওয়েলথ’।
 
সিটিও কাউন্সিল মিটিং হলো সিটিও’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভা। এ সভাটি নিয়মিতভাবে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ সভার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্বের মাত্রা নির্ধারণ, ভবিষৎ কর্মসূচি প্রণয়ন ও সংগঠনের অগ্রগতি পরীক্ষা করে দেখা হয়। সংগঠনটির পরিচালনাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের আর্থিক ও কৌশলগত বিষয়গুলোর পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা এবং চূড়ান্ত সুপারিশ সদস্য দেশগুলোর কাছে উপস্থাপন করা হয়।

সিটিও হলো কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো ও কমনওয়েলথ বহির্ভূত দেশগুলোর সরকারি, বেসকারি সংস্থা, ব্যবসায়ী নাগরকি ও সুশীল সমাজের মধ্যকার একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারত্ব মূলক সংস্থা। এটি আইসিটি সর্ম্পকিত বৈশ্বিক আলোচ্যসূচিকে প্রভাবিত করতে কাজ করে। সিটিও আন্তর্জাতিক কমিউনিটি টেলিযোগাযোগসহ আইটি এবং ইন্টারনটেসহ তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে নতুন জ্ঞান প্রদানমূলক নানা কর্মসূচি আয়োজন করে। অভিজ্ঞতা, দক্ষতার ব্যবহার ও বহুমাত্রিক সহযোগিতার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যকার বিরাজমান ডিজিটাল বিভেদ বা শূণ্যতা পূরণের যোগসূত্র তৈরি করে।
 
সিটিও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিকে সংহত করতে সহযোগিতা দিতে যা জনগণকে ক্ষমতাবান, সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থাগুলোর মধ্যে এ সংগঠন একটি বহুল পরিচিত সংস্থা, যার সদর দফতর লন্ডনে অবস্থিত। সব কমনওয়েলথভুক্ত সংস্থার মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন এবং সর্ববৃহৎ সংস্থাটির সদস্য দেশের সংখ্যা ৫৩টি। বাংলাদেশ সিটিও’র একটি পূর্ণ সদস্য দেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।