ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘বেস্ট গ্লোবাল ব্র্যান্ড’ তালিকার শীর্ষ দশে নেই ফেসবুক

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
‘বেস্ট গ্লোবাল ব্র্যান্ড’ তালিকার শীর্ষ দশে নেই ফেসবুক পিছিয়ে গেছে ফেসবুক। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের বেস্ট গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলোর তালিকায় শীর্ষ দশ থেকে ছিটকে গেলো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট ফেসবুক। প্রাইভেসি স্ক্যান্ডাল, তথ্য বেহাত হওয়া, ভুয়া খবর ঠেকাতে ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে থাকা ফেসবুকের জন্য এটি অবশ্যই নেতিবাচক খবর। তালিকায় ১৪তম স্থানে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমটি। দুই বছর আগেও প্রতিষ্ঠানটি ছিল বিশ্বের ৮ম মূল্যবান ব্র্যান্ড।

সম্প্রতি ব্র্যান্ড কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারব্র্যান্ড’ ২০১৯ সালে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০০টি গ্লোবাল ব্র্যান্ডের তালিকা প্রকাশ করেছে।

তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল।

ঠিক পরের স্থানে রয়েছে গুগল। তৃতীয় স্থানে অ্যামাজন, চতুর্থ স্থানে মাইক্রোসফট, কোকাকোলা পঞ্চম ও স্যামসাং রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। সপ্তম স্থানে রয়েছে টয়োটা, অষ্টম স্থানে মার্সিডিজ। নবম ও দশম স্থানে যথাক্রমে ম্যাকডোনাল্ড’স ও ডিজনি।

এছাড়াও তালিকার ১১তম স্থানে বিএমডব্লিউ, ২৪তম স্থানে পেপসি, ৩৫তম স্থানে ফোর্ড, ৪২তম স্থানে অডি, ৬৫তম স্থানে নেটফ্লিক্স, ৭২তম স্থানে পেপ্যাল, ৭৪তম স্থানে রয়েছে হুয়াওয়ে।

>> পুরো লিস্ট দেখতে পারবেন এ লিংকে

এদিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নিয়ে বিশ্বেজুড়ে অনেকেই অসন্তুষ্টির কথা জানিয়ে আসছিলেন। এরমধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সফটওয়্যার জায়ান্ট সেলসফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক বেনিয়ফ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে ‘নতুন সিগারেট’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। যা বাচ্চাদের মোহগ্রস্ত করে ফেলছে।

দুই বছর আগেও বিশ্বের শীর্ষ দশ ব্র্যান্ডের তালিকায় ছিল ফেসবুক। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান তালিকার ১৪ নম্বরে। ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত, প্রাইভেসি লঙ্ঘনসহ নানা বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ফেসবুকের। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়নস রাজ্যে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্লাস–অ্যাকশন মামলা (যে মামলা এক বা একাধিক ব্যক্তি পুরো দলের হয়ে আদালতে করেন) হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়নস রাজ্যের বাসিন্দাদের আপলোড করা ছবি স্ক্যান করে ফেসিয়্যাল রিকগনিশনের (চেহারা শনাক্তকরণ) জন্য কোনো অনুমতি নেয়নি ফেসবুক। আর তা কতদিন সংরক্ষণ করবে জানানো হয়নি এ বিষয়ে কোনো তথ্যও। যদি এ মামলায় ফেসবুক হেরে যায় তবে ব্যক্তিপ্রতি এক থেকে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমটিকে। সবমিলিয়ে ৭০ লাখ ব্যবহারকারীকে যদি জরিমানা দিতে হয় তবে তাদের ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার গচ্ছা দিতে হবে।

আরও পড়ুন>> ফেসবুকের বিরুদ্ধে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মামলা

এর আগে ব্যাবহারকারীদের গোপনীয়তার বিষয়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের সঙ্গে রেকর্ড পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে সমঝোতা করেছিল ফেসবুক।

২০১৮ সালে চালানো পনেমন ইনস্টিটিউট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে দেখা গেছে, ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেংকারির পর ব্যবহারকারীদের ফেসবুকের ওপর আস্থা কমে গেছে ৬৬ শতাংশ। মাত্র ২৮ শতাংশ ব্যবহারকারী বিশ্বাস করেন ফেসবুক ব্যাবহারকারীর প্রাইভেসি রক্ষায় দায়বদ্ধ।

এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, আমরা দেখেছি যে, মানুষ তাদের প্রাইভেসির বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। যখন বড় ধরনের কোনো বিচ্যুতি দেখা দেবে, তখন মানুষ উদ্বেগ জানাবে এটা স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।