ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দায়িত্বশীল হতে হবে: স্পিকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দায়িত্বশীল হতে হবে: স্পিকার

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।  

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

তথ্যপ্রযুক্তি এখন মানুষের দোরগোড়ায়। এর ব্যবহার অনেকটাই আমাদের কাছে নতুন। তাই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।  

‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কিছু পোস্ট দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা যা কিছুই স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করি না কেন, যাচাই করেই সেটি করতে হবে। ’

তিনি বলেন, অসত্য তথ্য সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। ফেক নিউজ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। তাই আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে মূল প্রতিপাদ্য সেটি সময়োপযোগী।  

স্পিকার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণার পর দেশে গত ১১ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ লাখের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে নারীদের মধ্যেও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে হবে।  

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে চাইলে সাইবার জগতকে নিরাপদ করতে হবে। অতীতের মতো এখনো একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে সাইবার জগতে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনেও দেশবিরোধী অপপ্রচার হতে পারে, তাই আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।  

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন।

সমাবেশ শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি খামারবাড়ী হয়ে আবার দক্ষিণ প্লাজায় গিয়ে শেষ হয়।  

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।

‘সত্য মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো যথাযথ মর্যাদায় জেলা-উপজেলাসহ দেশব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯ উদযাপিত হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১২ ডিসেম্বরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেওয়া হয়।  

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর পালন করা হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এসএমএকে/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।