ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

জিপির ১০০ কেটি টাকা নেয়নি বিটিআরসি, আলোচনার আমন্ত্রণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
জিপির ১০০ কেটি টাকা নেয়নি বিটিআরসি, আলোচনার আমন্ত্রণ গ্রামীণফোনের সংবাদ সম্মেলন।

ঢাকা: বিরোধপূর্ণ অডিটের স্বচ্ছ ও গঠনমূলক সমাধানে টাকা জমা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছে গ্রামীণফোন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের এ আহ্বানের কথা জানানো হয়।

গ্রামীণফোন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আলোচনার মাধ্যমে স্বচ্ছ ও গঠনমূলকভাবে বিরোধপূর্ণ অডিট আপত্তি সমাধানে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে গঠনমূলক আলোচনা চালিয়ে আসছে গ্রামীণফোন।

ধারাবাহিক এ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধপূর্ণ অডিটের বিষয়টি সমাধান প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আজ গ্রামীণফোন বিটিআরসিতে ১০০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণফোন আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিটিআরসি গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির একটি ফ্রেমওয়ার্ক ও পদ্ধতিতে সম্মত হবে। তবে বিটিআরসি এখনো এ প্রস্তাবনায় সম্মত হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের পরিচালক ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের প্রধান হোসেন সাদাত বলেন, এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো অডিট দাবির যথার্থতা বিবেচনায় এনে একটি সমাধানে পৌঁছানো, যেটি চলমান আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে বিকল্প একটি উদ্যোগ। হাইকোর্ট অডিট দাবি আদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, কিন্তু এ অডিট দাবির যথার্থতা নিয়ে কোনো মতামত দেননি।

অপারেটরটি জানায়, যাত্রার শুরু থেকে গ্রামীণফোন সঠিক সময়ে বিনিয়োগ, উদ্ভাবন এবং দক্ষ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে ৭৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে ৭৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা দিয়েছে। ২০১৯ সালে গ্রামীণফোন তার আয়ের ৫৯.২ শতাংশ ভ্যাট, ট্যাক্স, কাস্টমস, এক্সসাইজ-ডিউটি বাবদ সরকারকে দিয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে প্রতিষ্ঠানটি তার স্বাভাবিক ব্যবসায়িক পরিবেশ ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা করছে।

এ বিষয়ে বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন খান এক বিবৃতিতে জানান, যেহেতু গ্রামীণফোনের নিরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে আদালতের একটি নির্দেশনা রয়েছে, সেক্ষেত্রে বিটিআরসি উক্ত নির্দেশনার বাইরে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। কমিশন উক্ত নির্দেশনা প্রতিপালনে সচেষ্ট রয়েছে।

গত বছরের ৩১ জুলাই গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা চেয়ে চিঠি দেয় সংস্থাটি। গত ৫ জানুয়ারি বিটিআরসি রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার নিরীক্ষা দাবির মধ্যে ১৩৮ কোটি টাকা কিস্তিতে পাঁচ মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর বিটিআরসির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার নিরীক্ষা দাবির নোটিসের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে গ্রামীণফোনকে অবিলম্বে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে গ্রামীণফোনের মূল বিনিয়োগকারী টেলিনর।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এমআইএইচ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।