শনিবার (২৮ মার্চ) সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে-অ্যাপলয়ি প্রিমিয়াম সফটওয়্যারের ‘টাইম ট্র্যাকিং’ ফিচার ব্যবহার করে কর্মীদের সময় কীভাবে ব্যয় হবে তা নির্ধারণ করা যাবে।
‘কর্মী মনিটরিং’ ফিচারটি সম্পূর্ণ অপশনাল। এ ফিচার একটি স্বচ্ছ ও প্রোডাক্টিভ প্রতিষ্ঠান তৈরিতে সহায়তা করবে।
অন্যদিকে ‘কি-বোর্ড ও মাউস ট্র্যাকিং’ ফিচারের মাধ্যমে অ্যাপলয়ি কর্মীদের এক্টিভিটি পরিমাপ করে ও দৈবচয়নের ভিত্তিতে প্রতি দশ মিনিটে একটি স্ক্রিনশট নেয়। এটি কর্মীরা কী করছেন, শুধু তাই দেখতে দেয় না, তারা কোন কোন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করছেন তাও স্ট্যাটিস্টিক্যালি প্রদর্শন করে। অ্যাপলয়ি কর্মীদের কাজের ধারা বিশ্লেষণ করে পরিসংখ্যানগত তথ্য উপস্থাপন এবং তিনি কাজের জন্য সময় দিচ্ছেন কি-না সেটি এক্টিভিটি লেভেল হিসেবে দেখায়। ফলে বিভিন্ন ডাটা থেকে এনালাইসিস করে একজন ম্যানেজার বা উদ্যোক্তা সহজে বুঝতে পারবেন তার কোম্পানির কর্মীরা সময়ের সঠিক ব্যবহার করছে কি-না।
বাংলাদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান যাদের কর্মী সংখ্যা অনধিক ৫০, তাদের আগামী জুন পর্যন্ত সমস্ত প্রিমিয়াম প্ল্যান ফ্রি দেবে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যাপলয়ি দেশিয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বপ্রথম এ উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যাপলয়ি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ সৌরভ বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অ্যাপলয়ি তৈরি করা হয়েছে। রিমোট ও অফিস উভয় ধরনের কর্মীদের জন্যেই অ্যাপলয়ি প্রযোজ্য। অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং ও অন্য ইন্টারনেট সাইটের উপস্থিতি ইতিপূর্বের তুলনায় কর্মীদের মনঃসংযোগে আরও বেশি বেশি ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এটি কর্মীদের উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করছে। কর্মীদের উপর বোঝা চাপাতে অ্যাপলয়ি তৈরি হয়নি বরং কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব গ্রহণ ও স্বচ্ছতাকে উৎসাহিত করতেই এর জন্ম। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
ইইউডি/এইচএডি/