ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে উদ্যোক্তাদের মধ্যে স্পেস বরাদ্দ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২০
বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে উদ্যোক্তাদের মধ্যে স্পেস বরাদ্দ অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ অন্যরা

রাজশাহী: রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে শুক্রবার (১৪ আগস্ট) বৃক্ষরোপণ, উদ্যোক্তাদের মধ্যে স্পেস বরাদ্দ ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন, শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্পেস বরাদ্দপত্র হস্তান্তর ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আওতায় কনভেনশন হল স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। উদ্বোধক ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে পাকিস্তানের স্বাধীনতা বিরোধীরা। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ভেবেছিল এ দেশে আর কখনো জয় বাংলা ধ্বনি উচ্চারিত হবে না। কিন্তু তাদের সেই ভ্রান্ত ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় থেকে বিএনপি দুঃশাসন করেছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়ন করেছে। দেশের সর্বক্ষেত্রে এখন উন্নয়ন দৃশ্যমান। অসংখ্য মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে। এখন প্রতি সপ্তাহে একনেক সভা হচ্ছে, বড় বড় প্রকল্প পাশ হচ্ছে, যা আগে কখনো দেখিনি, কল্পনাতেও ছিল না। বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শিক্ষানগরী রাজশাহীতে হাইটেক পার্ক অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। ২০১১ সালে রাজশাহীতে মাদ্রাসা মাঠের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী হাইটেক পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক বাস্তবায়িত হচ্ছে। শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার থেকে ট্রেনিং নিয়ে এখানকার তরুণ-তরুণীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখন থেকে আর চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না, নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে মানুষকে চাকরি দেবে। আগামী দিনে আইসিটি হবে দেশের আয়ের অন্যতম বৃহৎ খাত।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আগস্ট শোকের মাস। এ মাসেই আমরা হারিয়েছি জাতির পিতাকে। ১৫ আগস্টের কালো রাতে কতিপয় বিপথগামীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ শোকের মাসেই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বেকারত্ব দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করাই আইসিটি বিভাগের অন্যতম লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্য পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর রাজশাহীতে এক জনসভায় এ অঞ্চলের জন্য একটি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন করে রাজশাহীবাসীর স্বপ্ন অনেকটাই পূরণ করেছেন। এর মাধ্যমে রাজশাহীকে একটি প্রযুক্তি নগর হিসেবে গড়ে তোলার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে হবে। প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থানের একটি ডিজিটাল ইকোনমিক হাব হিসেবে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, মহিলা আসন-৩৭ এর সংসদ সদস্য ল আদিবা আনজুম মিতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক, রাজশাহী প্রকল্পের পরিচালক (উপ-সচিব) এ কে এ এম ফজলুল হক, রাসিকের কাউন্সিলর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহীতে সদ্য নির্মিত শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২০
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।