ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইন্টারনেটের জন্য বাংলা ভাষায় স্থানীয় ডিজিটাল উপাত্ত ভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে আমরা যদি শিশুদের হাতে ইন্টারনেট ও ডিজিটাল ডিভাইস দিই, তাহলে বিনোদন ও পড়াশোনার জন্য শিশুদের উপযোগি ডিজিটাল উপাত্ত ভাণ্ডার গড়ে তোলা অপরিহার্য।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বইঘর আয়োজিত ‘বইঘর অ্যাপসের’ ষষ্ঠ ভার্সনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, শিশুদের উপযোগী উপকরণ না থাকায় তারা টিভি কিংবা কম্পিউটার গেম অথবা ইউটিউব বা ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়ে। বইয়ের পাতা তারা উল্টাতে চায় না।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য উপযোগী ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি যতো ব্যয়বহুলই হোক, বাণিজ্যিক বিষয়টি বিবেচনা না করে শিশুদের উপযুক্ত মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি প্রকাশনা শিল্প ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
শিশুদের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে তাদের লেখাপড়া করার আগ্রহ সৃষ্টি করা হয় না। শিক্ষাকে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালাইজ করতে হবে। ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষাকে সম্পূর্ণভাবেই ডিজিটালাইজ করার বিকল্প নেই এবং প্রাথমিক স্তর থেকেই তা শুরু করতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে এটি আরও ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছে যে শিক্ষাকে ডিজিটাল রূপান্তরের বিকল্প নেই।
আমাদের ছেলে মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তারা বিশ্বও জয় করতে পারে। আমাদের শিশুদের জন্য ভালো কিছু করতে পারলে জীবনে যা পেয়েছি তার প্রতিদান হিসেবে কিছুটা হয়তো শোধ করতে পারবো। এরই ধারাবাহিকতায় নিজের জমি বিক্রির টাকায় তৈরি বিজয় ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্ট অনলাইনে শিক্ষার্থীদের বিনা টাকায় দিচ্ছি।
বইঘরের ষষ্ঠ ভার্সনে থাকছে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীদের জন্য অধ্যায়ভিত্তিক অ্যাসেসমেন্ট দেওয়ার সুযোগ। ডিজিটাল লাইব্রেরির গ্রাহক হবার মাধ্যমে মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে যেকোনো বই ১০ দিনের জন্য পড়ার সুযোগ থাকছে। আর যোগ হচ্ছে টেক্সট টু স্পিচ টেকনোলজির মাধ্যমে বই পড়ে শোনানোর ব্যবস্থা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের এমডি মো. আবুল হোসেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/