ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

গ্রামীণফোন ডিজিটাল নিনজা কোডমাস্টার হ্যাকাথনে বিজয়ী ১০ উদ্যোক্তা  

ডেস্ক রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
গ্রামীণফোন ডিজিটাল নিনজা কোডমাস্টার হ্যাকাথনে বিজয়ী ১০ উদ্যোক্তা   গ্রামীণফোন ডিজিটাল নিনজা কোডমাস্টার হ্যাকাথনে বিজয়ী ১০ উদ্যোক্তা

ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে, ডিজিটালাইজেশন ও নিউ নরমালে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। গত ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটি এই প্ল্যাটফর্মের অধীনে ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট হিসেবে ‘কোডমাস্টার্স’ হ্যাকাথন’র সিরিজ আয়োজন করে।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) গ্রামীণফোন রাজধানীর জিপি হাউজে বিজয়ীদের জন্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  

এক হাজার তিনশ’রও বেশি ডিজিটাল নিনজা ‘কোডমাস্টার্স’ হ্যাকাথনে রেজিস্ট্রেশন করেন। হ্যাকাথন হ্যাকাথন পার্ট-১ অংশগ্রহণের জন্য  চারশ’রও বেশি প্রতিযোগীকে নির্বাচিত করা হয় এবং এর মধ্য থেকে প্রায় ৬০ জন হ্যাকাথন পার্ট-২ এ অংশগ্রহণের সুযোগ পান।

অনুষ্ঠানে ‘ডিজিটাইজেশন অ্যান্ড গ্রোথ প্রসপেক্টস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্যানেল ডিসকাশনের আয়োজন করা হয়। আলোচনায় বেসিসের প্রেসিডেন্ট  সৈয়দ আলমাস কবীর, প্রথম আলোর ইয়ুথ প্রোগ্রামসের হেড মুনীর হাসান, এলআইসিটির পলিসি এ্যাডভাইসর সামি আহমেদ, গ্রামীণফোনের হেড অব ডিজিটাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি সোলায়মান আলম, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হোসেন এবং এর হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের কোডার্স এবং ডেভেলপারসদের সমন্বয়ে ইনোভেটিভ সল্যুশন তৈরির লক্ষ্যে পরস্পরকে যুক্ত করার মাধ্যমে ডিজিটাল নিনজা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে গ্রামীণফোন। যাত্রা শুরুর পর থেকেই এ প্ল্যটফর্মের লক্ষ্য ছিলো একটি ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটি তৈরি করা। এ উদ্যোগটি স্থানীয় ডেভেলপারদের পরস্পরের সাথে যুক্ত করে তাদের ডিজিটাল স্কিল বাড়াতে সহায়তা করবে, যার মাধ্যমে তারা  গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্যে প্রয়োজনীয় সল্যুশন তৈরি করতে পারবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসিস’র প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, গ্রামীণফোন এবং অপারেটরদের কারণে এখন দেশজুড়ে এখন ইন্টারনেট সহজলভ্য। আর এর ফলে তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। আর আজকের আয়োজনের মতো উদ্যোগগুলো তরুণদের জন্য একটি ইতিবাচক সুযোগ যার মাধ্যমে তারা নিজেরাই তাদের ভবিষ্যত তৈরি করার অনুপ্রেরণা পাবে। আমাদের তরুনদের আমি আহ্বান জানাবো ভবিষৎ প্রযুক্তি, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাসহ ডিজিটার প্রযুক্তিতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে ভবিষৎ এর জন্য এখনই তৈরি হতে।

গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হোসেন বলেন, ‘নিউ নরমাল আমাদের চতুর্থ শিল্প বিল্পবের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং সুযোগ বাস্তবায়নে  কোলাবোরেশন এবং কো-ক্রিয়েশন আমাদের সবার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবাদানে নানা সল্যুশন তৈরিতে আমাদের প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিবে ডিজিটাল নিনজা।  ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার  হিসেবে আইটি প্রফেশনাল ও ডেভেলপারদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা আমাদের দায়িত্ব, যাতে করে তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ ২০২১ বিনির্মাণে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রত্যেক ক্যাটাগরি থেকে একজন বিজয়ী ও রানার আপ নির্বাচিত করা হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো: অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস অ্যানালিস্ট, আইওএস অ্যাপ্লিকেশন, কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স ইঞ্জিনিয়ার এবং ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট। প্রত্যেক বিজয়ী পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা পেয়েছেন এবং রানার আপরা পেয়েছেন প্রত্যেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে।  
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ক্যাটাগরিতে খন্দকার আশিকুর রহমান বিজয়ী হওয়া গৌরব অর্জন করেন; অন্যদিকে, এই ক্যাটাগরিতে রানার আপ হিসেবে মো. তৌহিদুল ইসলামকে নির্বাচিত কার হয়। বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা খন্দকার আশিকুর রহমান দুই বছর ধরে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির ক্ষেত্রে মো. তৌহিদুল ইসলামের চার বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে নতুনদের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে পেশাদার করে গড়ে তুলতে একটি লার্নিং প্ল্যাটফর্ম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তার।  
বিজনেস অ্যানালিস্ট ক্যাটাগরিতে সাদমান মাহমুদ বিজয়ী হন। এই ক্যাটাগরিতে রানার-আপ হিসেবে রাইসা ফারিহাকে নির্বাচিত করা হয়। নিজস্ব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সাদমান মাহমুদের্। আর রাইসা ফারিহা ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

আইওএস অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ক্যাটাগরিতে নাগিব বিন আজাদকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করে গ্রামীণফোন্। এই ক্যাটাগরিতে রানার-আপ হিসেবে নির্বাচিত হয় মো. নাজমুল ইসলাম। নাগিব বিন আজাদের আইওএস অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে আট বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। মো. নাজমুল ইসলাম ব্রেইন স্টেশনে জুনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং বর্তমানে তিনি টাইগারআইটি বাংলাদেশ লিমিটেডে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।

কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স ইঞ্জিনিয়ার ক্যাটাগরিতে গ্রামীণফোন অমিত সাহাকে বিজয়ী হিসেবে বেছে নেয় এবং রানার আপ হিসাবে মোনেম তাজওয়ারকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। অমিত সাহার সফটওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ৪ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। ব্যাকএন্ড ডেভলপমেন্টের জন্য শহিদুল ইসলামকে বিজয়ী হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে; এবং তাসিন ইশমাম রানার আপ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময় ০০১৭, জানুয়ারি ২৭,২০২১
এসকে/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।