ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিটিসিএলের ‘আলাপ’ উদ্বোধন, ৩০ পয়সায় কল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২১
বিটিসিএলের ‘আলাপ’ উদ্বোধন, ৩০ পয়সায় কল

ঢাকা: বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেডের (বিটিসিএল) ওটিটি (ওভার দ্য টপ) কলিং সেবা ‘আলাপ’র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
 
মোবাইল ফোনে ‘আলাপ’ অ্যাপ ইন্সটল করলেই একজন গ্রাহক নিজের বর্তমান মোবাইল নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে একটি নতুন আলাপ নম্বরের মালিক হবেন।


 
‘আলাপ’ থেকে ‘আলাপ’ কথা বলা এবং চ্যাট করা যাবে বিনামূল্যে। তবে তার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। আলাপ থেকে যেকোনো মোবাইল বা ল্যান্ডফোনে কথা বললে প্রতি মিনিটে খরচ হবে ৩০ পয়সা (এরসঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হবে), রয়েছে প্রতি সেকেন্ড পালস সুবিধা। আবার যেকোনো মোবাইল বা ল্যান্ডফোন নম্বর থেকেও আলাপে কল করা যাবে।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রোববার (৪ এপ্রিল) ঢাকায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে অ্যাপটির উদ্বোধন এবং ‘আলাপ’র লোগো উন্মোচন করেন।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, সুদীর্ঘকাল বিটিসিএল যে স্থবিরতার মধ্যে কাটিয়েছে তা আর অব্যাহত নেই। ডটবাংলা ডোমেইনের মূল্য হ্রাস, মাসে ১৫০ টাকায় ল্যান্ড ফোন থেকে ল্যান্ড ফোনে যত খুশি তত কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি, বিটিসিএল এর কলরেট হ্রাস, সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেটসহ জিপন সার্ভিস প্রবর্তন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু কর্মসূচির ফলে বিটিসিএল এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
 
করোনাকালে অফিস, অদালত, শিক্ষা, চিকিৎসা, শিল্প ও বাণিজ্য ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটাই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল।
 
মোস্তাফা জব্বার বলেন, উদ্ভাবনই বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নের প্রাণ। উদ্ভাবন ছাড়া কোনেভাবেই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করা যাবে না। উদ্ভাবন মানে মেধা ও সৃজনশীলতা। বর্তমানে শতকরা ৬০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর বয়স ৩০ বছরের নিচে। আমরা আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠীর মেধা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছি, আইওটিসহ বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানি করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বে দেওয়ার অবস্থানে নিজেদের দাঁড় করিয়েছি। তা অব্যাহত রাখতে হবে।
 
জনগণের চাহিদা পূরণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণের তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের শক্তির উৎস হচ্ছে জনগণ। জনগণকে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবার মান দিয়ে সন্তষ্ট রাখতে পারলে সেই প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাবেই।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বিটিসিএলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুর মতিন বক্তব্য দেন।
 
সভাপতির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বিটিসিএলকে একটি আধুনিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরে সেবার মানোন্নয়ন ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২১
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।