ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিপিও শিল্পের উন্নয়নে বাজেট সহায়তার আহ্বান বাক্কোর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২১
বিপিও শিল্পের উন্নয়নে বাজেট সহায়তার আহ্বান বাক্কোর ফাইল ছবি

ঢাকা: বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও শিল্পকে সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে এ খাতের উন্নয়নে সরকারের কাছে বাজেট সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। বিপিও খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) নেতারা বলছেন, এই খাতের উন্নয়নে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

সোমবার (৭ জুন) প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর নিজেদের প্রতিক্রিয়ায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয় বাক্কো এর পক্ষ থেকে।

বাক্কো এর নির্বাহী সমন্বয়কারী সেলিম সরকার স্বাক্ষরিত প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, আইসিটি সেক্টরের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় কর্মসংস্থান তৈরির যে খাতটি, তা হচ্ছে বিপিও। কাজেই এই খাতের আওতা ও পরিধি বাড়াতে হলে এ শিল্পের প্রধান পরিচালক তাদের ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে হবে এবং এই জন্যে এই শিল্পে যেসব ইন্ডাস্ট্রি তাদের কাজ আউটসোর্সিং করবে তাদের বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে আকৃষ্ট করতে হবে। কারণ আরেকটি শিল্প তখনই আউটসোর্সিং এ আকৃষ্ট হবে যখন সে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে। কিন্তু এই অপার সম্ভাবনাময় খাতের উন্নয়নে এই ধরনের কোনো উদ্যোগ এই বাজেটে পরিলক্ষীত হয়নি ।

একই সঙ্গে বিপিও খাতে ৫ শতাংশ হারে উৎসে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দেওয়ারও আহবান জানানো হয়। বাক্কো বলছে, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাক্কোর দেওয়া প্রস্তাবটি আমলে নেওয়া হয়নি । বিপিও খাতের উন্নয়নে এবং সম্প্রসারণের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার ওপর এই কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া না হলে গ্রাহকের চাহিদাকৃত সেবা বাবদ ব্যয় আরো অনেকাংশে বেড়ে যাবে এবং আরও অনেক গ্রাহকদের বিপিও সেবা গ্রহণে অনুৎসাহিত করবে।

অবশ্য আইটি বা আইটিইএস খাতকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেওয়ায় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানানো হয় বাক্কো এর পক্ষ থেকে। তবে এই কর অব্যাহতির সময়সীমা আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত করারও দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে কর অব্যাহতির সনদপত্র জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে যেন সহজে ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ করতে পারেন তার জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করারও আহবান জানায় সংগঠনটি।

একই সঙ্গে বিপিও শিল্পের উন্নয়নে গবেষণার জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা ও তাদের কর্মসংস্থানের জন্য ৩০০ কোটি টাকা তহবিল গঠনেরও আহবান জানান বাক্কো নেতারা।

বাক্কো বলছে, সংশোধিত বাজেটে তাদের দাবি দাওয়ার প্রতিফলন ঘটলে এবং সরকারি সাহায্য পাওয়া গেলে এই খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। বর্তমানে দেশে-বিদেশে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে এই খাতের যেখানে প্রায় ৬০ হাজার কর্মী কাজ করছেন। ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাতে এক লাখ লোকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বাজার এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়াতে পারে বলেও আশাবাদ তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২১
এসএইচএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।