ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটি নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ বিটুবি সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২১
আইসিটি নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ বিটুবি সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাত নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের আইটি ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

অনলাইন মাধ্যমে আয়োজিত এ সভায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর ৩৭টি সদস্য প্রতিষ্ঠান ও ভারতের আইটি খাতের প্রায় ৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।


 
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
 
আইটি ও আইসিটি সেবা খাতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কম্পিউটার সফটওয়্যার এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (ইএসসি) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটি (বিএইচটিপিএ) যৌথভাবে সভার আয়োজন করে।
 
প্রধান অথিতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকে ভারত আমাদের অকৃত্রিমবন্ধু রাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণেআমরা সবাই একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। বৈশ্বিক করোনা মহামারির এই সময় ডিজিটাল প্লাটফর্ম কিভাবে এদেশের জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করছে। বিশেষ করে আমাদের ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ করোনা মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জনগণকে টিকাদান কর্মসূচিতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে। আমাদের তরুণদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে আমাদের সরকার আইসিটি খাতের বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনিং দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতীয় আইটি কোম্পানি আমাদের সহায়তা করতে পারে।
 
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, আইসিটি খাতের বাংলাদেশ ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক উন্নত। আইসিটি খাতে ভারতীয় কোম্পানি বিশ্ব বাজারে জায়গা করে নিলেও বাংলাদেশ থেকে আইটি খাতের দশ লাখের বেশি দক্ষ জনবল নিয়ে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের নিজস্ব অবস্থান তৈরি করতে বেসিস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
 
২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলারের ওপর রপ্তানি আয় করার আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই খাতে বাংলাদেশ ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেলে তা উভয় দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আইসিটি খাতে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্প্রাসারণে বেসিস নিরলসভাবে ভারতীয় হাইকমিশন, বাংলাদেশ সরকার এবং ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায় সংগঠনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে।
 
সম্মেলনে ই-কমার্স, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আইটির ব্যবহার, সাইবার নিরাপত্তা, রোবটিক অটোমেশন প্রক্রিয়া, পর্যটন খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, কৃত্রিম বুদ্ধিমাত্রা ও ব্লকচেইনের ব্যবহার, বড় তথ্য বিশ্লেষণ, সংযুক্ত ও ভার্চ্যুয়াল বাস্তবতা, অ্যানিমেটেড ছবি নির্মাণ, সফটওয়্যার উন্নয়ন, ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ নির্মাণসহ প্রযুক্তি খাতের অন্যান্য ক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা কিভাবে পারস্পরিক ব্যবসা বৃদ্ধি করে পরস্পর লাভবান হতে পারেন সে বিষয়ে আলোচনা করেন উভয় দেশের আইসিটি খাতের ব্যবসায়ীরা।  
 
সভায় অন্যান্যদের মাঝে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশান অব বাংলাদেশের যুগ্ম-সচিব নাসিমা আক্তার নিশা, ভারতের ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কম্পিউটার সফটওয়্যার এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (ইএসসি) এর চেয়ারম্যান সন্দ্বীপ নারুলা, ইএসসির নির্বাহী পরিচালক গুরমিত সিং বক্তব্য রাখেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২১
এস এইচ এস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।