ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

উন্নয়নশীল বিশ্বকে ক্রমবর্ধমান ঋণে ফেলে দিয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ: শ্রিংলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
উন্নয়নশীল বিশ্বকে ক্রমবর্ধমান ঋণে ফেলে দিয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ: শ্রিংলা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উন্নয়নশীল বিশ্বকে ক্রমবর্ধমান ঋণে ফেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। জি-২০ সম্মেলনের আওতায় অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল সাউথ সামিট শুরুর আগে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এ মন্তব্য করেন তিনি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বা যুদ্ধ বছর গড়াচ্ছে। এর মধ্যে বিশ্বের প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সামিট বা সম্মেলনের আয়োজন করে। ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির প্রধান সমন্বয়ক হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ইউক্রেনের সংঘাত উন্নয়নশীল বিশ্বের ওপর ক্রমবর্ধমান ঋণ, কম রাজস্ব ও উচ্চ আমদানি বিলের খড়্গ ফেলেছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশ আজ খাদ্য ও জ্বালানির উচ্চ আমদানি বিলের প্রভাবে জর্জরিত। আয়োজিত সামিটে এসব ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার কথাও বলেন তিনি।

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বর্তমান অবস্থায় পণ্য ও পরিষেবার জন্য আন্তর্জাতিক চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। এতে রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশে রেমিটেন্স কমে গেছে। এমন কিছু দেশ আছে যারা তাদের আয়ের জন্য রেমিট্যান্স, পর্যটন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্তত ৯০টি উন্নয়নশীল দেশ গভীর সংকটে রয়েছে। এবারের গ্লোবাল সাউথ সামিটে এ সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতীকবাদ কোনো গুরুত্ববহন করে আমি সেটা মনে করি না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, একটি গোষ্ঠী হিসাবে এ সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে, যা বিশ্বে আজ খুব বেশি প্রয়োজন।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে তিনি বলেন, এটি যুদ্ধের যুগ নয়। ভারত শান্তিতে বিশ্বাস করে। যুদ্ধ বন্ধে কূটনীতি ও আলোচনাই একমাত্র উপায়। দুই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন। আমরাও উদ্বিগ্ন। তবে যেটি করতে পারি, এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি যার মাধ্যমে আমরা বৃহত্তর এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি; যেটি শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে। এবং এটিই আমাদের অগ্রাধিকার।

গ্লোবাল সাউথ সামিটে এবার ১২০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের মাধ্যমে সম্মেলনটি শুরু হবে। এরপর দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে দশটি অনলাইন বৈঠক বসবে। ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ শিরোনামে ভারতের ৫৬টি স্থানে ২১৫টি বৈঠকের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

সূত্র: দ্যা হিন্দু

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।