মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাড়িতে মেহমান হিসেবে কারা গেছেন, সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন কংগ্রেসের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। প্রেসিডেন্টের বাড়িতে সরকারি নথি পাওয়ার বিষয়টি রাষ্ট্রীয় ঝুঁকি দাবি করে তারা এ লিস্ট চান।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) জো বাইডেন স্বীকার করেন, ডেলাওয়্যারে তার বাসভবনের গ্যারেজে স্পর্শকাতর কিছু পাওয়া গেছে।
তবে তার বাড়িতে যাওয়া ব্যক্তিদের তথ্য প্রকাশ করা হবে কিনা সে বিষয়ে হোয়াইটহাউজ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু নথিগুলো খতিয়ে দেখতে একজন তদন্তকারী নিয়োগ করেছে দেশটির বিচার বিভাগ।
হোয়াইটহাউসের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে বাইডেনের সহযোগীরা গোপনীয় সরকারি রেকর্ডের একটি নতুন ব্যাচ খুঁজে পান। দ্বিতীয় আরেকটি স্থানে এগুলো পাওয়া যায়। এতে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও বিব্রতকর পর্যায়ে যায়।
প্রথম দফায় গত বছর ২ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির একটি বেসরকারি অফিসে নথি পাওয়া গিয়েছিল। ওই অফিসটি বাইডেন অতীতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ব্যবহার করতেন। ২০১৭ সালে হোয়াইটহাউস ছেড়ে যাওয়ার পরে ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্সির প্রচারণা শুরু করা পর্যন্ত তিনি সেখানে অফিস করেছিলেন। কিন্তু এ সপ্তাহের শুরুতে সেই খবরটি প্রকাশ পায়।
বৃহস্পতিবার মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড একটি সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় গোপনীয় সরকারি রেকর্ডের একটি নতুন ব্যাচটি ডেলাওয়্যারের উইলমিংটনে বাইডেনের ব্যক্তিগত বাড়িতে পাওয়া গেছে।
এর আগে বুধবার (১১ জানুয়ারি) দৈনিক প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জঁ-পিয়ের প্রথম ফাইলগুলো সম্পর্কে প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেন, এটি বিচার বিভাগ পর্যালোচনা করছে। গতকাল প্রেসিডেন্ট যা বলেছেন তার বাইরে আমি যেতে চাচ্ছি না।
হোয়াইট হাউসের নব-নির্বাচিত রিপাবলিকান স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি প্রথম নথি প্রকাশের সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বাইডেন সেই কাগজগুলো জেনেশুনে সেখানে রেখেছেন বলে অভিযুক্ত করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বাইডেন বলেন, তার আইনজীবীরা নথি পাওয়ার বিষয়টি কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন এবং তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
এফআর/এমজে