ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

টুইটার ব্যবহারকারী জনপ্রিয় সৌদি অধ্যাপকের মৃত্যুদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
টুইটার ব্যবহারকারী জনপ্রিয় সৌদি অধ্যাপকের মৃত্যুদণ্ড

টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার এবং খবর শেয়ার করে সৌদির বিরুদ্ধে ‘নাশকতা’র অপরোধে দেশটিতে এক অধ্যপাকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আওয়াদ আল-কুরনি নামের ওই অধ্যাপক সংস্কারবাদী ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান রোববার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়াদ আল-কুরনিকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছর সংস্কারবাদীদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

আল-কুরনির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলোর বিস্তারিত গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন তার ছেলে নাসের আল-কুরনি। গত বছর সৌদি ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন নাসের। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে এখন রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার প্রত্যাশায় আছেন।

বর্তমান সৌদির সংবাদমাধ্যমগলোতে আল-কুরনিকে একজন ‘বিপজ্জনক’ ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়। তবে সংস্কারবাদীরা দাবি করেন, তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। যাকে টুইটারে প্রায় ২০ লাখ মানুষ ফলো করত।

এর আগে টুইটার ব্যবহার করায় গত বছর সালমা-আল-শিহাব নামে এক নারীকে ৩৪ বছর এবং নোরা-আল-কাহতানি নামে অপর এক নারীকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৭ সালে ক্রাউন প্রিন্স হন। এরপরই দেশটিতে টুইটার, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয় করেন।

গার্ডিয়ান আরও জানিয়েছে, নিজ নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অদৃশ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখলেও, টুইটার ও ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছে সৌদি সরকার। যে বিনিয়োগের পরিমাণ বছর বছর বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।