তুরস্কে ৬ দশমিক ৪ ও ৫ দশমিক ৮ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প পরপর আঘাত হেনেছে। সোমবার রাতে ভূমিকম্প দুটি আঘাত হানে।
এর মধ্যে প্রথমটির কেন্দ্রস্থল তুরস্কের হাতায় প্রদেশের আন্তাকিয়ার বাইরে দেফনে শহরের কাছে। সিরিয়া, মিশর ও লেবাননেও ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে। লোকজন ভবনে আটকে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি সাড়াদান সংস্থা আফাদ বলছে, প্রথম ভূমিকম্পটি সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৪ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে আঘাত হানে।
ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প পর্যালোচনা কেন্দ্র (ইএমএসসি) বলছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রের গভীরতা ২ কিলোমিটার।
প্রথম ভূমিকম্পের কয়েক মিনিট পরই হাতায় প্রদেশে দ্বিতীয় কম্পন অনুভূত হয়। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল হাতায় প্রদেশের সামানদাগ জেলায়। এর অবস্থান প্রথমটির ঠিক দক্ষিণপশ্চিমে।
হাতায়ের মেয়র জানান, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে লোকজন আটকা পড়েছে।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় লোকজনকে ভেঙে পড়া ভবন থেকে দূরে অবস্থানের পাশাপাশি সরকারি সতর্কবার্তা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
এদিকে সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী হোয়াইট হেলমেট জানিয়েছে, সিরিয়ায় ভবন ভেঙে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। পরে দুপুরের দিকে তুরস্কে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুই দেশে অন্তত ৪৭ হাজার মানুষ নিহত হন। লাখ লাখ লোক ঘরছাড়া হয়েছেন।
তুরস্কের কর্তৃপক্ষ ৬ তারিখের ভূমিকম্পের পর থেকে এই পর্যন্ত ৬ হাজার আফটারশক রেকর্ড করেছে। বিবিসি বলছে, সোমবার বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থা লোকজনকে ভূমধ্যসাগর উপকূল থেকে দূরে অবস্থান করতে বলছে। এটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কম্পনের সময় পানির উচ্চতা অন্তত ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
আরএইচ
