ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মণিপুরে সহিংসতায় নিহত ৫৪, সেনা মোতায়েন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৩
মণিপুরে সহিংসতায় নিহত ৫৪, সেনা মোতায়েন

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে চারদিন ধরে চলা সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষ রাজ্যে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য সেনা মোতায়েন করলেও নতুন সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার একটি উপজাতি গোষ্ঠীর বিক্ষোভ মিছিল থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার সেনাকে মণিপুর রাজ্যে পাঠানো হয়। কর্তৃপক্ষ সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছে এবং অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণের প্রয়াসে ‘চূড়ান্ত পরিস্থিতি’ দেখামাত্র গুলির আদেশ জারি করেছে।

পুলিশ এএফপিকে জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে নতুন করে সহিংসতার পর পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। অন্যদিকে দ্য প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) বলছে, রাজ্যের রাজধানী ইমফল এবং আরও দক্ষিণে চুরাচাঁদপুর জেলার হাসপাতালের মর্গে মিলিতভাবে মোট ৫৪ জনের মরদেহ পৌঁছার খবর পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান, ১৬টি মরদেহ চুরাচাঁদপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে এবং ১৫টি মরদেহ ইমফল পূর্ব জেলার জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে রয়েছে। ইমফল পশ্চিম জেলার ল্যামফেলের আঞ্চলিক ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস ২৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।

মণিপুরের পুলিশের মহাপরিচালক পি ডউঙ্গেল শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনছে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর টহল দলগুলো সহিংসতা বন্ধ করতে অনেক দূর এগিয়েছে।

এদিকে নিরাপত্তা বাহিনী এবং মণিপুর সরকার এখনো এই সপ্তাহের সহিংসতার জন্য সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা জানায়নি। তবে ভারতের আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, সম্পত্তির ক্ষতির পাশাপাশি কয়েক দিনের সংঘর্ষের পর ‘অনেকে প্রাণ হারিয়েছে’।

ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় মণিপুর থেকে তথ্যের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এতে শুক্রবারের সর্বশেষ সংঘর্ষের খবর ঠিক মতো পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশী নাগাল্যান্ড রাজ্যে অবস্থিত একটি ভারতীয় সেনা ইউনিট বলেছে, ১৩ হাজার লোক ‘সামরিক চত্বরে’ সহিংসতা থেকে আশ্রয় চেয়েছিল।

নিরাপত্তা বাহিনী বৃহস্পতিবার ইমফলে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ শহরের কিছু অংশে যানবাহন ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। সার্বক্ষণিক কারফিউ আরোপের কারণে রাস্তায় পোড়া যানবাহন, অন্যথায় খালি রাস্তা দেখা গেছে। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেছেন, সড়ক ও আকাশ পথে রাজ্যে অতিরিক্ত সেনা আনা হয়েছে।

সূত্র: এএফপি

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।