নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণ সংক্রান্ত তদন্তে ‘সম্পূর্ণ ফলাফলের অভাব’ রয়েছে। এ ঘটনায় ‘জল ঘোলা করার’ অভিযোগে জার্মানি, সুইডেন ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা। খবরে বলা হয়েছে, নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনাটি কাকতালীয় নয় বলে অভিমত রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, আমরা লক্ষ্য করেছি এই দেশগুলো নাশকতা ও এর প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে তুলে ধরতে আগ্রহী নয়। এর বদলে তারা তদন্ত প্রচেষ্টাকে বিলম্বিত করছে। তারা মূল অপরাধ শনাক্ত করেনি বরং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।
এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা ছিল না। বরং গণমাধ্যমকে অন্ধকারে রাখতে জল ঘোলা করার চেষ্টা মাত্র।
এর আগে সুইডেন ও ডেনমার্ক বলেছিল গত সেপ্টেম্বরে নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণটি ইচ্ছা করেই ঘটানো হয়েছিল। এর নেপথ্যে কে বা কারা দেশ দুটি এখনও জানাতে পারেনি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলার মধ্যেই ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথমে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটায় তা ছিল রহস্যের অন্তরালে। পরবর্তীতে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, তারা ধারণা করছে ইউক্রেন সমর্থক একটি গ্রুপ ঘটনার পেছনে ছিল।
বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে রাশিয়া থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহে ব্যবহৃত পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম ওয়ানের ওপর হামলাটি চালানো হয়। এ ঘটনায় রাশিয়া, ইউক্রেন ও ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্ব একে অপরের ওপর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তোলে।
রাশিয়া এ ঘটনায় পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে ব্রিটেনকে দোষারোপ করে। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে ব্রিটেন। পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়াকে বিস্ফোরণের জন্য দায়ী করে। কিন্তু এর কোনো প্রমাণ পাওয় যায়নি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির উপদেষ্টা দাবি করেছিলেন, ঘটনাটির সঙ্গে তার দেশ কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়।
চারটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনের অন্তত ১৬৪ ফুট দীর্ঘ একটি অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এর পাশে থাকা পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম-টু।
জার্মানি, ডেনমার্ক ও সুইডেন এ ঘটনার তদন্ত করছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
এমজে