ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের বিদ্রোহের পর নতুন খবর সামনে এলো। বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ার।
বিদ্রোহী ওয়াগনার যোদ্ধারা পুতিনের বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার এবং একটি সামরিক বিমানে হামলা চালিয়েছিল। এতে ৩৯ জনের মতো পাইলট ও ক্রু হারিয়েছে রাশিয়া।
বিমানটি শীর্ষ এক সামরিক কর্মকর্তাকে বহন করছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে ২০ এর বেশি যুদ্ধবিমানের পাইলট থাকতে পারেন।
বলা হচ্ছে যে, পুতিন তিনটি এমআই-৮সহ কয়েকটি হেলিকপ্টার হারিয়েছেন। তিনি আইএল-২২ মডেলের একটি প্লেনও হারিয়েছেন। এটি আকাশে যুদ্ধ পরিকল্পনা চালাতে ব্যবহার করা হতো।
ইলিউশিন-২২ প্যান্টসির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়ে থাকতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রাশিয়ার নিজস্ব বাহিনী গোপনে ওয়াগনারকে দিয়েছিল।
রাশিয়ান চ্যানেল ওয়ানের করেসপন্ডেন্ট ইরিনা কুকসেনকোভার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিমানটিতে ১০জন ক্রু ছিলেন।
সাবেক সোভিয়েত সামরিক কৌশলবিদ এবং রাজনীতিবিদ ভিক্টর অ্যালকনিস, যিনি এখন ব্ল্যাক কর্নেল নামে একজন বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত, তিনি প্রকাশ করেছেন যে, এতে সম্ভবত একজন উচ্চপদস্থ জেনারেল ও অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা ছিলেন।
তিনি এক পোস্টে বলেন, আমার অনুমান, আইএল-২২ এর বোর্ডে কেবিন ক্রু ও টাস্ক ফোর্সের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে ছিল। সবাই মারা গেছেন।
আলকনিসের অনুমান, ওয়াগনার বিদ্রোহীদের মাধ্যমে পাঁচটি হেলিকপ্টার এবং একটি বিমান ধ্বংসের ফলে ৩৪-৩৯ জনের মতো নিহত হয়েছেন।
তিনি স্পষ্ট করেছেন, এর মধ্যে ১৯ জনের মতো ছিলেন ভূপাতিত হওয়া পাঁচটি হেলিকপ্টারে। যুদ্ধে ইউক্রেনীয়রা যত ক্ষয়ক্ষতি করেছে, তার চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি একদিনে হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
আরএইচ