মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ঘোষিত রাসায়নিক অস্ত্রের শেষ মজুদ ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার (৭ জুলাই) মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট বলেন, এ ঘটনার মধ্যদিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত মজুদ রাসায়নিক অস্ত্রের পরিসমাপ্তি ঘটল।
কেন্টাকির ব্লু গ্রাস আর্মি ডিপোতে কর্মীরা শুক্রবার (৭ জুলাই) জিবি নার্ভ এজেন্টের রকেট ধ্বংস করেছে। বিধ্বংসী এ রকেট সারিন নামেও পরিচিত। কয়েক দশকের স্নায়ুযুদ্ধ ও প্রচার-প্রচারণা শেষে ৩০ হাজার টনেরও বেশি রাসায়নিক মজুদ নির্মূল করা হলো।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, এ পদক্ষেপ আমাদের রাসায়নিক অস্ত্রের ভয়াবহতা মুক্ত বিশ্বের এক ধাপ কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, আমি হাজার হাজার আমেরিকানদের কাছে কৃতজ্ঞ যারা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এ মহৎ এবং চ্যালেঞ্জিং মিশনে তাদের সময় এবং মেধা খরচ করেছেন। আজ যেহেতু আমরা এ গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করেছি। আমাদের অবশ্যই রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত ভবিষ্যত গঠনের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে হবে।
শুক্রবার রিপাবলিকান সিনেটের নেতা মিচ ম্যাককনেলও এ খবরকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রাসায়নিক অস্ত্র মানব ক্ষতির সবচেয়ে ভয়ংকর পর্বগুলোর জন্য দায়ী।
তিনি আরও বলেন, যদিও এ মারাত্মক এজেন্টদের ব্যবহার সর্বদা ইতিহাসে একটি দাগ হয়ে থাকবে, আজ আমাদের জাতি অবশেষে আমাদের অস্ত্রাগারকে এ মন্দ থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে।
আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সর্বশেষ রাসায়নিক অস্ত্র নির্মূল করার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের অধীনে ১৯৯৭ সালে রাসায়নিক অস্ত্র নির্মূলের সিদ্ধান্ত হয়। এতে ১৯৩টি দেশ অংশ নেয়।
রাসায়নিক অস্ত্র প্রথমবারের মতো মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। এ সময় শুধু রাসায়নিক অস্ত্রের আঘাতে কমপক্ষে এক লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
জেনেভা কনভেনশনের মাধ্যমে পরবর্তীতে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও, অনেক দেশ এর মজুদ অব্যাহত রাখে।
১৯৮০-এর দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে। সম্প্রতি সিরিয়ার যুদ্ধে এর ব্যবহার হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
জেএইচ