বিদ্রোহের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। বিদ্রোহের পাঁচ দিনের মাথায় গত ২৯ জুন তাদের মধ্যে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, পুতিন ৩৫ জনকে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে ইউনিট কমান্ডাররাও ছিলেন। সাক্ষাৎ তিন ঘণ্টা স্থায়ী হয়। ওয়াগনার কমান্ডাররা পুতিনকে বলেছিলেন, তার সৈন্য এবং তার জন্য তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন।
প্রিগোজিন বলেন, তার বিদ্রোহ সরকার উৎখাতের জন্য ছিল না বরং সেনাবাহিনী এবং প্রতিরক্ষা প্রধানদের বিচারের আওতায় আনার জন্য, কারণ ইউক্রেনে তাদের ভুল এবং অপেশাদার কাজের শাস্তি হওয়া উচিত।
২৪ জুলাই ওয়াগনার গোষ্ঠী বিদ্রোহ ঘোষণা করে মস্কোর দিকে অগ্রসর হতে থাকে। সেদিন সকালে ওয়াগনারের ভাড়াটে সৈন্যরা ইউক্রেনে তাদের ফিল্ড ক্যাম্প থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্তভ-অন-ডনে প্রবেশ করে।
শ্বাসরুদ্ধকর গতিতে তারা আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং মস্কোর উত্তরে আরেকটি শহর ভোরোনেজের সামরিক স্থাপনা দখল করে নেয়।
যোদ্ধারা মস্কোর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করলে ক্রেমলিন মস্কোসহ অনেক অঞ্চলে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করে। মস্কোর মেয়র শহরের বাসিন্দাদের বাইরে ঘোরাঘুরি এড়িয়ে চলতে বলেন।
এর জবাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, যারা রাশিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
রুশ টিভি চ্যানেল রশিয়া ২৪-এর খবরে তখন বলা হয়, বেলারুশের নেতা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো ও প্রিগোজিনের মধ্যে বৈঠকে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। সৈন্যরা যুদ্ধের মাঠে ফিরে যেতে শুরু করে। পরে প্রিগোজিন বেলারুশে চলে যান।
২৭ জুন লুকাশেঙ্কো বলেন, সংকট নিরসনে ২৪ জুনের এক চুক্তির অংশ হিসেবে প্রিগোজিন বেলারুশে এসেছেন। পরে ৬ জুলাই লুকাশেঙ্কো সাংবাদিকদের বলেন, প্রিগোজিন সেন্ট পিটার্সবার্গে (রাশিয়ার দ্বিতীয় বড় শহর) রয়েছেন। তিনি আর বেলারুশের মাটিতে নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
আরএইচ