ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে ১১ গোয়েন্দার গ্রেফতার সম্পর্কে পাওয়া তথ্য স্ববিরোধী: রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১০

মস্কো: রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর লিয়াকিন-ফ্রোলভ জানান, যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার গোয়েন্দা চক্রের গ্রেফতার সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা স্ববিরোধী। তিনি বলেন, ‘আমরা তথ্য যাচাই করছি।

এর মধ্যে প্রচুর স্ববিরোধিতা রয়েছে। ’ আজ মঙ্গলবার তিনি এ মন্তব্য করলেন। খবর এএফপি’র।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার সরকারের হয়ে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল সোমবার ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

সাধারণ নাগরিকদের মতোই, কেউ কেউ দম্পতি হয়ে বহু বছর ধরে রাশিয়ার পক্ষে গোয়েন্দা এজেন্টের কাজ করছিলেন এরা সবাই।

তাদের বিরুদ্ধে বিদেশী সরকারের পক্ষে বেআইনী এজেন্ট হয়ে চক্রান্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড।

কোড করা রেডিও বার্তা, মাটির নিচে টাকা পুঁতে রাখা, ভুয়া পরিচয়, হোটেল কক্ষে লুকানো ভিডিও ক্যামেরা। গতকাল সোমবার এগুলো উন্মোচনের পর স্নায়ুযুদ্ধের শিহরণের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।

এফবিআই জানায়, আটকদের মধ্যে দুই জন ২০০৬ সালে নিউ ইয়র্কের উর্টসবোরো অঞ্চলে ভ্রমণে গিয়েছিলো। সেখানে তারা একটি টাকার ব্যাগ মাটির খুঁড়ে বের করেছিলো। এরও দুই বছর আগে কেউ সেখানে এই টাকা মাটিতে পুঁতে রেখেছিলো।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র থেকে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে এজেন্টের দায়িত্ব পালন করা এই চক্রটা গভীর আড়ালেই ছিলো। তারা যুক্তরাষ্ট্রের বা কানাডার নাগরিকত্ব নিয়ে রাশিয়ার গোয়েন্দা এজেন্টের কাজ করে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপনে থাকা এজেন্টদের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে অভিযান চালানো হয়েছে। তারা রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এসভিআর পক্ষে করেন।

সন্দেহভাজনদের বাড়ি থেকে এফবিআই গোপনে শোনার যন্ত্র (লিসেনিং ডিভাইস) খুঁজে পেয়েছে। তাদের গাড়িতে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) ডিভাইস, রেস্তরাঁ বা হোটেল কক্ষে লুকিয়ে রাখা ভিডিও ক্যামেরাও খুঁজে পাওয়া গেছে। এছাড়া এফবিআই তাদের বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টে, ইমেইল ও টেলিফোনে কথোপকথনের ওপর গোপনে তদন্ত করেছে।

আটকদের কয়েকজন ১৯৯০ এর দশকের শুরু বা মাঝামাঝি সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। বিয়েও করেছেন অনেকে। তারা সবাই রাশিয়ার এসভিআর এর প্রধান কার্যালয় থেকে নির্দেশনা পেতেন।

আটক এজেন্টদের কাছ থেকে এসফিআর এর পাঠানো একটি বার্তা এফবিআই সদস্যরা উদ্ধার করেছেন। বার্তাটি ২০০৯ সালের। এতে লেখা রয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আপনাদের পাঠানো হয়েছে দীর্ঘ সময়ের জন্য। আপনাদের শিক্ষা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, গাড়ি, বাড়ি সবকিছুর লক্ষ্য একটাই। আর তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং এ বিষয়ে মস্কো কেন্দ্রে প্রতিবেদন পাঠানো। ’

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১০
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।