মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আট প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে কেউই সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পান নি। ফলে প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডে ভোট দিতে হবে দেশটির ভোটারদের।
নির্বাচনে প্রধান বিরোধী প্রার্থী মোহাম্মদ মুইজ্জু ৪৬ শতাংশেরও বেশি ভোট নিয়ে অপ্রত্যশিত ভাবে এগিয়ে আছেন, বিপরীতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
বিরোধী প্রার্থী মুইজ্জুর প্রগ্রেসিভ পার্টি অফ দ্য মালদ্বীপ (পিপিএম)-এর নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন মালদ্বীপ-চীন সম্পর্ক দৃঢ় করেছিল। বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এ যুক্ত হয়ে অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য মিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে ৪৫ বছর বয়সী মুইজ্জু মালদ্বীপে অবস্থানরত ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বহিষ্কার এবং সর্বোপরি ভারতীয় প্রভাব কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট ৬১ বছর বয়সী সোলিহ ২০১৮ সালের শেষ নির্বাচনে পিপিএম-এর দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষের মধ্যে ভূমিধস বিজয় পেয়েছিলেন। তিনি মালদ্বীপকে দৃঢ়ভাবে ভারতের প্রভাব-বলয়ে নিয়ে এসেছিলেন। তার ‘ভারত-প্রথম’ নীতি মালে অঞ্চলে আবাসন এবং সেতু নির্মাণসহ অবকাঠামো খাতে নয়া দিল্লির অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পেরেছিল। খবর আল জাজিরা, আরব নিউজ।
শনিবারের নির্বাচনের আগে আটজন প্রার্থীর মধ্যে সোলিহই এগিয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছিলো। তবে ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রত্যাশার চেয়ে কম ভোটার উপস্থিতি এবং দুর্নীতি মোকাবেলায় ব্যর্থতায় জনমনে হতাশার মত বিষয় গুলো বর্তমান প্রেসিডেন্টের ভোট ব্যাংকে আঘাত করেছে বলে মনে হচ্ছে।
৩০ সেপ্টেম্বর মুইজ্জু এবং সোলিহর মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটের লড়াই অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এমএম