যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযোগ তুলেছেন তার বন্ধু রাষ্ট্র ইসরায়েলের এক সাবেক নেসেট সদস্য। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলে জাতিগত নিধনের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টই ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন।
ইসরায়েলি ওই সংসদ সদস্যের নাম সামি আবু শাহাদেহ। নিজ দেশের আচার নিয়েও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আল জাজিরার লাইভ আপডেটের একটি ‘কোটে’ সামি আবু শাহাদেহ’র মন্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, তারা (ইসরায়েল) ধ্বংস ও প্রতিশোধ নিতে চাওয়া মানসিকতার নেতৃত্বে রয়েছে। তাদের এটি করার সব ক্ষমতা রয়েছে এবং তারা গত চার দিন ধরে এটি করছে।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের ভূখণ্ডে নজিরবিহীন ও তীব্র হামলা চালায় সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলার প্রত্যুত্তরে গাজা উপত্যকায় পালটা হামলা ও অবরোধের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। সে ধারাবাহিকতায় উপত্যকাটিতে বিমান ও কামানের গোলার হামলা চালাচ্ছে ইহুদি রাষ্ট্রটি।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দেওয়া অর্থই ইসরায়েলি শক্তির মূল উৎস বলে ধারণা করে থাকেন বিশ্লেষকরা। শুধু অর্থ নয়, ইহুদি রাষ্ট্রটিকে অস্ত্র দিয়েও সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের ধারাবাহিক হামলায় পর্যুদস্ত ইসরায়েলকে ঘুরে দাঁড়াতেও বাইডেন প্রশাসন অস্ত্র সরবরাহ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
মূলত এসব কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে দুষছেন সামি আবু শাহাদেহ। তিনি বলেন, ইসরায়েল হামাসের নেতৃত্বকে হত্যা করছে না। তারা হামাসের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিচ্ছে না।
সামি আবু শাহাদেহ’র এ কথার ভাবার্থ, হামাসকে দমনে ইসরায়েলই এককভাবে দায়ি নয়; এর পেছনে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
২২ লাখ লোক সম্মিলিতভাবে শাস্তি পাচ্ছে উল্লেখ করে বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে, আমাদের সঙ্গে, ইসরায়েল রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি ইসরায়েলিদের সঙ্গে কি ঘটছে দেখুন। চরম ডানপন্থী ফ্যাসিস্টদের কারণে আমাদের জীবন বিপন্ন।
উল্লেখ্য, হামাস-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই পক্ষেই নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০০ জনে। গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৭৭০।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৪ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এ ছাড়া গত শনিবার থেকে পশ্চিম তীরে ১৮ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
এমজে