সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস শনিবার ইসরায়েলে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের সামাজিক নেটওয়ার্ক এক্স (আগের নাম টুইটার) ভুয়া ভিডিও, ছবি ও ভুয়া তথ্যে সয়লাব হয়ে যায়।
এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করে ইয়ান মাইলস চিয়ং নামে উগ্র-ডানপন্থী এক বিশ্লেষক লিখেছেন, কল্পনা করুন তো, এমনটি আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে ঘটছে, আপনাদের পরিবারের সঙ্গে ঘটছে।
অ্যা কমিউনিটি নোট নামে এক্সের এক ফিচারে ব্যবহারকারীরা ওই ভিডিওর প্রকৃত প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ভিডিওতে যারা হত্যা করছেন, তারা হামাসের সদস্য নয়, তারা ইসরায়েলি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য।
তবে ভিডিওতে এখনো লাখ লাখ প্রতিক্রিয়া পড়ছে। হাজার হাজার এক্স ব্যবহারকারী এই ভিডিও শেয়ার করছেন। ব্যবহারকারীদের অনেকের অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড। আল জাজিরার অনুসন্ধানে তা দেখা গেছে।
শুধু এক্সেই নয়, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে ভুল তথ্য-ভুয়া খবর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে।
এক্স এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসের স্বত্বাধিকারী মেটা, টিকটক ও ব্লু -স্কাই আল জাজিরার অনুরোধের পরও কোনো জবাব দেয়নি।
গেল সোমবার এক্স ঘোষণা দেয়, এই সংঘাত নিয়ে সপ্তাহ শেষ এই প্ল্যাটফর্মে ৫০ মিলিয়ন পোস্ট হয়েছে। এক্স জানিয়েছে, তারা হামাস সংশ্লিষ্ট নতুন সৃষ্টি করা কিছু অ্যাকাউন্ট ও পোস্ট সরিয়েছে এবং কিছু নীতি হালনাগাদ করেছে।
সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট এথিকস প্রোগ্রামের পরিচালক ইরিনা রাইসু বলেন, এই বড় কোম্পানিগুলো এখনও বিভ্রান্তির বিস্তারে চুপচাপ। এমনকি কেউ এখনও এতে বিস্মিত নয়।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্ক করে দিয়ে বলছে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে এক্সে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হলে ইলন মাস্ককে জরিমানা গুনতে হতে পারে। খবর সিএনএন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
আরএইচ