অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে টানা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিরতিহীন এ হামলায় শিশুসহ অন্তত ১৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের সংবাদ ও তথ্য সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিনভর ঘণ্টা পর ঘণ্টা বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। সর্বত্র ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা ব্যবহার করে টাওয়ার বিল্ডিং ও বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়েছে তারা। ব্যাপক হতাহত হয়েছে, অন্তত ১৫১ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যাও অনেক।
উত্তর গাজা উপত্যকার সীমান্ত বিশেষ করে বেইট লাহিয়া শহরের উত্তর-পশ্চিমে হিংসাত্মক বোমা হামলা করা হয়েছে। এসব অঞ্চলের আকাশে শুধু আগুনের শিখা ও ধোঁয়া দেখা গেছে।
কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাও তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
টানা হামলায় গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোয় আহতের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। ইসরায়েলি দখলদাররা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন; এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থা রেডক্রস বলছে, পরিস্থিতি এমন হাসপাতালগুলোই মর্গে পরিণত হতে পারে। গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ। যেসব জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল রাখা হয়েছে, আর কয়েকঘণ্টায় সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে।
গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিরুপায় হয়ে এখন শুধুমাত্র মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা।
রেডক্রসের আঞ্চলিক পরিচালক ফাবরিজিও কার্বোনি বলেছেন, বিদ্যুৎ নেই, হাসপাতালগুলোয় ইনকিউবেটরে থাকা নবজাতক ও অক্সিজেনে থাকা বৃদ্ধরা ঝুঁকিতে রয়েছেন। কিডনির ডায়ালাইসিস বন্ধ; এক্সরেও করা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা নিতে আসার মারা যাবেন, হাসপাতাল মর্গে পরিণত হবে।
এদিকে, হামাস বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে না বলে ইসরাইল যে হুমকি দিয়েছিল, সেটিতেই অটল রয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন। এদিকে তিনি যুদ্ধকালীন জরুরি সরকার গঠন করেছেন। এও বলেছেন, গাজার মাটি থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
এমজে