ইসরায়েলি হামলায় কার্যত ভেঙে পড়েছে গাজা উপত্যকা। হাসপাতালগুলোয় প্রতি মিনিটে একজন করে রোগী ভর্তি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার পরিস্থিতি এমন, যেখানেই চোখ যাচ্ছে বড় বড় বিল্ডিং, অল্প উচ্চতার ভবনগুলোকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ধ্বংস্তুপের ভেতর থেকে মানুষ উদ্ধার করা হচ্ছে- জীবিত বা মৃত। আহতের সংখ্যাও ব্যাপক। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতি মিনিটে একজন করে রোগী ভর্তি হচ্ছে চালু থাকা হাসপাতালগুলোয়।
কিন্তু এসব হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া আর সম্ভব হবে না। কারণ, প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিদ্যুৎ না থাকায় সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাদের কাছে বর্তমানে যতটুকু জ্বালানি রয়েছে, সেটিও শেষের পথে। কয়েকঘণ্টার মধ্যে এসব জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, যারা এখনও অক্ষত অবস্থায় আছেন তারা বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারছেন না। গাজায় বিদ্যুৎ-পানি-খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব সুবিধা ইসরায়েলিরা বন্ধ করে দিয়েছে।
গাজার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, অবরুদ্ধ উপত্যকায় কোনো পরিষেবা চালু হয়নি। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নেই।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াদ আল-বোজোম বলেছেন, বাসিন্দারা অস্বাস্থ্যকর জল পান করছে। এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সংকট- যেটি নাগরিকদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়।
গত ১০ দিন ধরে গাজা উপত্যকার পাঁচটি গভর্নরেটের কোনোটিতে ইসরায়েলিরা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করেনি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এমজে