ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে অপর একটি ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত ১৩ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রদেশের ভিজিয়ানগরম জেলায় হাওড়া-চেন্নাই লাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পর ওই লাইনের ১৮টি ট্রেনের শিডিউল বাতিল করা হয় এবং ২২টি ট্রেন ঘুরিয়ে নিয়ে অন্য লাইন দিয়ে চালানো হয়।
সংবাদমাধ্যম টিভি নাইন জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর ধারণা, থেমে থাকা ট্রেনকে ভুল সিগন্যাল দেখানো হয়েছিল। যে কারণে পেছন থেকে অপর ট্রেনটি সংঘর্ষ বাধায়।
তবে অন্য একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলেছে, থেমে থাকা ট্রেনের চালক সিগন্যাল খেয়াল করেননি। তাই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থলের ছবি ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ও ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।
এসব ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় করেছেন।
ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, রাতের মধ্যেই অন্য অক্ষত বগিগুলোকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি, গুরুতর আহতদের আড়াই লাখ রুপি এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিহতের পরিবারকে আরো দুই লাখ রুপি বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আহতরা আরও ৫০ হাজার রুপি বেশি পাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত ২ জুনে উড়িষ্যায় তিন ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষে ২৮৮ জন নিহত হয়েছিল। গত ১১ অক্টোবর রাতে বিহারে বক্সার জেলার রঘুনাথপুর স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয় আনন্দ বিহার-কামাখ্যা নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেসের ছয়টি বগি। সেই দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়।
তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে, বিবিসি