হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে ১১ নভেম্বর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জরুরি সম্মেলনের আয়োজন করে আরব লিগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশের নেতারা।
সম্মেলনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদে একটি ‘বাধ্যতামূলক’ প্রস্তাব গ্রহণের দাবি জানানো হয় এবং ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার’ অজুহাত নাকচ করে গাজায় মানবিক সহায়তার অবাধ সরবরাহের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য দখলদাররা (ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ) দায়ী।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর উচিত গাজায় হামলার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ বলেন, আমাদের হাতে যদি ইসরায়েলকে চাপে ফেলার মতো কিছু না থাকে, তবে আমাদের বক্তব্য বা পদক্ষেপ কোনো কাজে আসবে না।
পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষপাতের সমালোচনা করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, সব সময় মানবাধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলা পশ্চিমা দেশগুলো ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা নিয়ে আজ নিশ্চুপ, এটি লজ্জার বিষয়।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে। এ সময় ফিলিস্তিনিদের জন্য আন্তর্জাতিক সুরক্ষা আহ্বান জানান তিনি।
আরব কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সম্মেলনে ইসরাইলকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় লেবানন ও আলজেরিয়া। কিন্তু ২০২০ সালে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা আরব লিগের সদস্যদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের বিরোধিতার মুখে এই প্রস্তাব গৃহিত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
এমএম