ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজা যুদ্ধে ‘অর্থপূর্ণ বিরতি’ প্রয়োজন: ইইউ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
গাজা যুদ্ধে ‘অর্থপূর্ণ বিরতি’ প্রয়োজন: ইইউ

ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধের ‘অর্থপূর্ণ বিরতি’ প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এ কথা বলেন সংস্থার ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের ইউরোপীয় কমিশনার জেনেজ লেনারসিক।

তিনি বলেন, গাজায় দুই পক্ষের যুদ্ধ বিরতিগুলোকে সংজ্ঞায়িত ও সম্মান করা জরুরি। এই বিরতিগুলো অর্থপূর্ণ হতে হবে।

গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তার ওপর কঠোর মনোভাব ধরে রেখেছে ইসরায়েল। রাফাহ সীমান্ত দিয়ে যে সহায়তা ঢুকছে তা গাজাবাসীর জন্য পর্যাপ্ত নয়।

গাজার দুটি বড় হাসপাতাল আল শিফা ও আল কুদস বন্ধ হয়ে গেছে। এর মূল কারণ জ্বালানি না থাকা। ইইউর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের ইউরোপীয় কমিশনার গাজায় জ্বালানি সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন।

জেনেজ লেনারসিক বলেন, গাজায় জ্বালানি প্রবেশ করতে হবে। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন জ্বালানির অভাবে উপত্যকার অর্ধেকের বেশি বেশি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে জ্বালানির খুবই প্রয়োজন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, রোববার থেকে আল শিফা ও আল কুদস হাসপাতালের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেছে। সব ধরনের অপারেশনও সেখানে স্থগিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে, এ পরিস্থিতিতে গাজায় মৃত্যু বাড়বে। সংকট এড়াতে দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

শিফা ও কুদস ছাড়াও কামাল ইদওয়ান নামে উত্তর গাজার একটি হাসপাতালও তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে জ্বালানির অভাবে।

গাজায় হাসপাতাল বন্ধের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়াসুস মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, হাসপাতালগুলো যেখানে মানুষকে বাঁচানোর কথা সেগুলো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আল-শিফা হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে অন্তত ৬৫০ রোগী, প্রায় ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মী ও দেড় হাজারের বেশি মানুষ আটকা পড়েছেন। হামলা ও জ্বালানি সংকটে হাসপাতালের তিনজন নার্স নিহত হয়েছেন। তিন নবজাতকসহ এ হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে গাজার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৮ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী-ও শিশু।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।