উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ মিশরে শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। রোববার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে এ ভোটগ্রহণ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবেন ৬ কোটি ৭০ লাখ ভোটার।
দেশটির জাতীয় নির্বাচন কমিটি (এনইসি) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সমস্ত প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে। স্কুল, যুবকেন্দ্র এবং স্বাস্থ্য ইউনিটসহ ৯ হাজার ৩৭৬টি নির্বাচনী কেন্দ্রের জন্য ১১ হাজার ৬৩১টি উপ-নির্বাচন কমিটি গঠন করেছে।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে।
রাজধানী কায়রোর একটি ভোটকেন্দ্রে কড়া পাহারায় ভোটারদের ব্যালট প্রদান করতে দেখা গেছে।
মিশরের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতারা সিসিকে চ্যালেঞ্জ করছেন।
সাবেক সামরিক কর্মকর্তা সিসি দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হয়ে স্বৈরাচারী ক্ষমতার ভিত্তি সুসংহত করতে যাচ্ছেন সিসি।
মিশর ৩০ শতাংশেরও বেশি মূল্যস্ফীতি এবং মুদ্রার পতনের মুখোমুখি হয়েছে, তবে এ সমস্যাগুলো নির্বাচনী প্রচারে প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠেনি।
২০১৩ সালের ৩ জুন অভ্যুত্থানে ব্রাদারহুডের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুতির মাধ্যমে ক্ষমতায় বসেছিলেন আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে জয় পান ৯৭ শতাংশ ভোটে। আর এবার ক্ষমতায় গেলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ টানা ১৬ বছর মিশরের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকবেন এ স্বৈরশাসক।
২০১৯ সালে একটি সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সিসি সরকার প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ চার থেকে ছয় বছর বাড়ানোসহ তৃতীয় মেয়াদে কোনো প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বৈধতা দেওয়া হয়।
সূত্র: আল-আরাবিয়া নিউজ
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
জেএইচ