ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর হতে চলল। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আরও অতিরিক্ত পাঁচ লাখ সেনা চায় বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, তার কমান্ডাররা সাড়ে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ সেনা চান। তবে তিনি বিষয়টিকে ‘সংবেদনশীল’ ও ব্যয়বহুল হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ পদক্ষেপকে সমর্থন দেওয়ার আগে তার আরও বিস্তারিত জানা দরকার। তবে তিনি আভাস দেন, যুদ্ধক্ষেত্রে ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ সেনা মোতায়েন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির এমন মন্তব্য এলো।
চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য ৬০ বিলিয়ন ডলারের একটি যুদ্ধ সহায়তা প্যাকেজ আটকে দেয় রিপাবলিকানরা।
গেল সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫০ বিলিয়ন ইউরোর একটি তহবিল আটকে দেয় হাঙ্গেরি। যদিও ইউরোপের নেতারা বলছেন, ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করা হবে না।
ইউক্রেন গোলাবারুদের ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ এটি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েই যাচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করে।
শীতের শুরুতে কিয়েভের পাল্টা স্থল হামলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে রাশিয়া সহজেই ইউক্রেনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা চলতি মাসের শুরুতে বিবিসির সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পশ্চিমা সমর্থন ছাড়া ইউক্রেনীয়রা মরণ বিপদে পড়বে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চলতি সপ্তাহেই বলেছেন, মস্কো হামলা চালিয়েই যাবে। পাশাপাশি তিনি সব উদ্দেশ্য অর্জনের শপথও নেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
আরএইচ