ইরানের সশস্ত্র বাহিনী হরমুজ প্রণালীর কাছে কনটেইনারবাহী একটি জাহাজ আটক করেছে। সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলায় এ অঞ্চলে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই জাহাজটি আটক হলো।
শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, এলিট ফোর্স ইসলামিক রেভল্যুশনারিক গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ওই জাহাজ আটক করে। এ বাহিনীরই দুই জেনারেলসহ সাত সদস্য সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানায়, জাহাজটি এখন ইরানের আঞ্চলিক জলসীমার দিকে নেওয়া হয়েছে।
আটক হওয়া জাহাজটি শনাক্ত করা গেছে। এটি পর্তুগালের পতাকাবাহী জাহাজ এমএসসি অ্যারিস। জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বন্দর থেকে ভারতের পথে রওনা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এ জাহাজ লন্ডনভিত্তিক জোডিয়াক মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট, যা ইসরায়েলি বিলিয়নেয়ার ইয়াল ওফার ও তার পরিবারের পরিচালিত জোডিয়াক গ্রুপের একটি অংশ।
শনিবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সির পাওয়া ফুটেজে দেখা যায়, সৈন্যরা একটি হেলিকপ্টার থেকে জাহাজে নেমে আসছেন।
হেলিকপ্টারটি সোভিয়েত-নকশা করা এমআইএল এমআই-১৭। এটি আইআরজিসির নৌসেনারা পরিচালনা করেন।
জোডিয়াক মেরিটাইম এক বিবৃতিতে বলেছে, এমএসসি হলো ইতালিয়ান-সুইস জাহাজ কোম্পানি, যেটি জাহাজের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।
এমএসসি এক বিবৃতিতে জানায়, ২৫ ক্রু সদস্য জাহাজে ছিলেন। তাদের সুস্থতা এবং জাহাজের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হচ্ছে।
ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম অপারেশনস (ইউকেএমটিও) বলেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহর ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তর-পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষে জাহাজটি জব্দ করে।
নভেম্বরের শেষের দিকে ভারত মহাসাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট আরেকটি কন্টেইনার জাহাজ ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে এ ঘটনায় দায়ী করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
আরএইচ