ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

স্কুলে দেরিতে এসেছেন শিক্ষক, মারধর করলেন অধ্যক্ষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৪
স্কুলে দেরিতে এসেছেন শিক্ষক, মারধর করলেন অধ্যক্ষ

ভারতের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মারধর করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের আরেক শিক্ষককে। দেরিতে আসার অভিযোগে এমন কাণ্ড ঘটান প্রধান শিক্ষক।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম গুঞ্জন চৌধুরী। তিনি আগ্রার সেগানা গ্রামের একটি প্রাক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন।

স্কুলের অধ্যক্ষ শুধু যে গুঞ্জনকে লাঞ্ছিত করেছেন, তা-ই নয়: তার বিরুদ্ধে জামাকাপড়ও টেনে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, কথা বলতে বলতে গুঞ্জনকে মারতে শুরু করেন অধ্যক্ষ। তার হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছিলেন গুঞ্জন। প্রধান শিক্ষক তার জামা টেনে ধরে রেখেছিলেন। মারধরের সময় তার ড্রাইভার এগিয়ে আসেন এবং তাদের আলাদা কারার চেষ্টা করেন। অবশ্য, ড্রাইভারও গুঞ্জনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন।

মারামারির সময় পেছন থেকে কেউ বলে ওঠেন, ‘ঘটনা ভিডিও করা হচ্ছে। ম্যাডাম আপনি অভদ্র আচরণ করছেন। এই আচরণ কি আপনার জন্য শোভনীয়?’ মারধরের সময় ওই শিক্ষিকা আহত হয়েছেন বলে ক্যামেরার সামনে দাবি করেন তার অন্য এক সহকর্মী।

পরে দুই শিক্ষিকাকে বলতে শোনা যায়,  ‘বেশারাম আওরাত (লজ্জাহীন নারী)। এরপরেই স্কুলে দেরিতে আসার অভিযোগ তোলেন প্রধান শিক্ষিকা। অধ্যক্ষ এবং শিক্ষিকা উভয়ই ঘটনার সময় অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা ভুলে গিয়েছিলেন যে স্কুলে আছেন বা যে পেশায় আছেন সেখানে এ ধরনের মন্তব্য শোভনীয় নয়।

ঘটনার সময় ওই শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষিকাকে বলেন, ‘মার কে দিখা আগার দম হ্যায় তো। কেয়া কার লেগা তু অর তেরা ড্রাইভার (তোর সাহস থাকলে আমাকে মেরে দেখান। তুই আর তোর ড্রাইভার কী করতে পারবি আমার)। ’

প্রধান শিক্ষক উত্তরে বলেন, ‘কিসিকি দাদাগিরি নাহি চলেগি ইয়াহা (কারো দাদাগিরি এখানে চলবে না)। ’ পরে অধ্যক্ষ আহত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।