প্রচণ্ড গরমে কাশ্মীরের মানুষ বিপর্যস্ত। সাধারণত, গরমের সময়ও কাশ্মীরকে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির বেশি ওঠে না।
ইতোমধ্যেই উদ্যানপালন বিভাগ থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তাতে কাশ্মীরের আপেল, আখরোটসহ বিভিন্ন বাগানের মালিক ও কর্মীদের সতর্ক করে জানানো হয়েছে, এ গরমে কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে তাদের বাগান বাঁচানোর জন্য।
প্রথমেই বলা হয়েছে, যদি পানি দেওয়ার সুবিধা থাকে, তাহলে অবিলম্বে যেন বাগানে পানি দেওয়া হয়। গাছের গোড়ায় আর্দ্রতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্চ-এপ্রিলে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছিল। তারপর বৃষ্টি হয়নি। সেজন্য গাছে পানি দরকার। একটি আপেলের ৮৬ শতাংশই জল। তাই গাছ পানি না পেলে আপেল ভালো হবে না। এখন পানি না পেলে আপেল উৎপাদন কম হবে। ড্রাই ফ্রুটের ক্ষেত্রেও পোকা লেগে যাবে।
কাশ্মীরে এখন বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা হচ্ছে। তাপপ্রবাহের ফলে ঝিলম নদীর জলস্তর কমছে। ধানের ক্ষেত, সবজির ক্ষেত শুকিয়ে গেছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ চলছে। আগামী দিনে অল্পস্বল্প বৃষ্টি হতে পারে। আগস্ট পর্যন্ত সামান্য স্বস্তি হতে পারে। কিন্তু ব্যাপক বা লাগাতার বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা এখনই নেই।
কাশ্মীরে এখন স্কুলে গরমের ছুটি দেওয়ার দাবি উঠেছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী দুই দিন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। তাছাড়া বাকি শিশুদের স্কুল শুরু হবে সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত। এ নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুপুরে বাচ্চা ও বয়স্করা যেন রোদে বের না হন। বের হলে যেন ছাতা নিয়ে বেরোন। প্রচুর পানি পান করেন।
ডয়চে ভেলে অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
আরএইচ