ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসে প্রথম: শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
ইতিহাসে প্রথম: শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনা

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে শনিবার। কিন্তু হেভিওয়েট তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি।

 

শ্রীলঙ্কার বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে শতকরা কমপক্ষে ৫০ ভাগ ভোট পেতে হয়। যদি এ পরিমাণ ভোট কোনো প্রার্থীই না পান, তাহলে দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনা করা হয়।

অর্থাৎ দ্বিতীয় দফা ভোট গণনা করা হবে এই নির্বাচনে। যা হবে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফায় ভোটগণনা।

অবশ্য দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট গণনায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকবেন মার্কসবাদী এবং চীনপন্থি অনূঢ়া  কুমারা দিশানায়েকে এবং ভারতপন্থি সাজিথ প্রেমাদাসা।

কারণ, নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বর্তমান উদারপন্থি প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে ইতোমধ্যে বাদ পড়ে গেছেন।

নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আরএলএএম রত্নানায়েকে বলেছেন, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন অনূঢ়া  কুমারা দিশানায়েকে এবং সাজিথ প্রেমাদাসা। কিন্তু তারা কেউই শতকরা কমপক্ষে ৫০ ভাগ ভোট পাননি।  

অনলাইন দ্য হিন্দু ও শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিররের  প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্য বলছে, নির্বাচনে অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে পেয়েছেন ৫৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯১৫ ভোট, যা মোট ভোটের শতকরা ৪২ দশমিক ৩১ ভাগ। সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৪৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৫ ভোট, শতকরায় ৩২ দশমিক ৭৬ ভাগ। অন্যদিকে রনিল বিক্রমাসিংহে পেয়েছেন ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬৭ ভোট (শতকরা ১৭ দশমিক ২৭ ভাগ)।  

প্রথম দফার গণনায় এগিয়ে মার্কসবাদী ও চীনপন্থি অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। তাকে শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বলা হচ্ছে। অন্যদিকে সাজিথ প্রেমাদাসা ভারতপন্থি। তার প্রতি ভারতের সমর্থন আছে বলে গত সপ্তাহে দ্য ডিপ্লোম্যাটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।  

সে অর্থে দিশানায়েকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ভারতের কপালে আরও একটি চিন্তার রেখা যোগ হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়বে।  

সীমান্ত সংযোগ প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে চিরবৈরী সম্পর্ক ভারতের। আরেক সীমান্ত সংযোগ প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে এ মূহূর্তে কূটনৈতিক সম্পর্ক মসৃণ নয় ভারতের। চীনপন্থি  প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজুর কারণে মালদ্বীপের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক যাচ্ছে না ভারতের। এখন শ্রীলঙ্কায়ও যদি চীনপন্থি দিশানায়েকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাহলে ভারত এ অঞ্চলে অনেকটা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়তে পারে।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন দেশটির ১ কোটি ৭০ লাখ ভোটার। এবারের নির্বাচনে যেকোনো প্রার্থী নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন না, এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন নির্বাচন বিশ্লেষকেরা।

শ্রীলঙ্কার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হন ৩৯ জন। তবে গতকাল ভোট শেষে গণনার প্রাথমিক পর্যায়ে তিন প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যায়। তারা হলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, বিরোধী দল সঙ্গী জন বালাওয়াগার (এসজেবি) সাজিথ প্রেমাদাসা ও ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) নেতা অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।