বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা।
এই পদক্ষেপ জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাগুলোর জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ ডব্লিউএইচও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সমন্বয় করে থাকে।
এই ঘোষণাটি এমন সময়ে এলো, যখন কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও একই পথে হেঁটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুটি দেশের বর্তমান কট্টর ডানপন্থী সরকারের মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। উভয়েই কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের একটি সংস্থা হিসেবে, ডব্লিউএইচও কোনো দেশকে তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ মানতে বাধ্য করতে পারে না। তবে সংস্থাটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে প্রয়োজনীয় গবেষণা ও সুপারিশ দিয়ে সহায়তা করে।
মিলেই বুধবার(০৫ ফেব্রুয়ারি) কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে ডব্লিউএইচও-এর পরামর্শের সমালোচনা করেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, আমরা এমন একটি জঘন্য সংস্থা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা ইতিহাসের বৃহত্তম ‘সামাজিক নিয়ন্ত্রণ’ পরীক্ষার একটি অংশ ছিল।
আর্জেন্টিনায় আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতির মধ্যে ২০২৩ সালে মিলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি ব্যয় কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং নিজেকে ‘অনার্কো-ক্যাপিটালিস্ট’ বা কট্টোর পুঁজিবাদী হিসেবে পরিচয় দেন। তার সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কিছু পদক্ষেপ নিলেও, দারিদ্র্যের হার ৫০ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে। সমালোচকরা বলছেন, তার প্রশাসন দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সরবরাহসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিষেবা কমিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৫
এমএম