ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান আরব দেশগুলোর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান আরব দেশগুলোর

গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র পুনর্বাসন এবং উপত্যকাটি দখলে নেওয়ার যে প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছেন, সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জোর দিয়ে বলেছেন, আমরা আমাদের জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন হতে দেব না। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, গাজা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরই অংশ। সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হবে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।

গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে ১৫ মাস ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া হামাস বলছে, ট্রাম্পের প্রস্তাব হবে আগুনে ঘি ঢালার মতো। তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে জর্দান, মিশরসহ কয়েকটি আরব দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্ররাও পরিকল্পনাটি প্রত্যাখ্যান করেছে।

আর জাতিসংঘ যেকোনো ধরনের জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজা ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নিউইয়র্কে এক বৈঠকে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতে বসবাসের অধিকার থেকে ক্রমেই বঞ্চিত হচ্ছেন।

সৌদি আরব বলছে, ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূমি ছাড়বে না এবং তারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না।   তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব ইতিহাস পাল্টে দিতে পারে এবং এটি মনোযোগ আকর্ষণের মতো।

বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবটি স্পষ্ট করার চেষ্টা করে। মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট গাজা পুনর্গঠন এবং সেখানকার বাসিন্দাদের অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছিলেন, স্থানান্তরটি স্থায়ী হবে। তিনি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট গাজায় মার্কিন সেনা পাঠানোর বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি।

গতবার মঙ্গলবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা দখলের পরিকল্পনার কথা জানান।

ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজাকে একটি ধ্বংসস্তূপ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উন্নয়নমূলক কিছু কাজ করতে পারে। যেমন অবিস্ফোরিত বোমা অপসারণ, গাজা পুনর্গঠন এবং সেখানকার অর্থনীতিকে পুনরায় সচল করা। তিনি দাবি করেন, গাজার ১৮ লাখ মানুষ সেখানে থাকতে চায় না। বরং, তারা অন্য দেশে চলে যেতে চায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।