ফিলিস্তিনের গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার ভাষ্য, হামাস যদি বন্দি মুক্তি না করে উপত্যকাটি ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ দেখবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আল জাজিরা ও বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় গাজায় আটক থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য স্থগিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপরই গাজায় যুদ্ধ শুরুর হুমকি দেন নেতানিয়াহু।
তিনি এও বলেছেন, হামাস যতক্ষণ না পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে পরাজিত হচ্ছে, ততক্ষণ ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধ করবে। যদি শনিবারের মধ্যে হামাস তাদের কাছে আটকে রাখা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দেয় তাহলে গাজায় আবার যুদ্ধ শুরু হবে।
তিনি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সেও পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে নেতানিয়াহু বলেছেন, যদি শনিবার দুপুরে হামাস আমাদের বন্দিদের ফিরিয়ে না দেয় তাহলে যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাবে। এবং হামাস শেষ পর্যন্ত পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তীব্র লড়াইয়ে ফিরে যাবে।
মঙ্গলবার আরেক এক্স বার্তায় তিনি আরও বলেন, হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দোষী। একই পোস্টে তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে ও চারপাশে বাহিনী জড়ো করার নির্দেশ দেন।
অপর এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, চুক্তি নষ্ট হলে হামাস এবার ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ দেখবে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে। তিন পর্যায়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে হামাস ও ইসরায়েল। এরমধ্যে রয়েছে বন্দি বিনিময় ও স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রা।
তবে ইসরায়েল এ চুক্তির মূল বিধান লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তোলে হামাস। এতে প্রশ্নবিদ্ধ হয় চলমান যুদ্ধবিরতির ধারাবাহিকতা। আগামী শনিবার গাজায় আটক থাকা তিন বন্দির মুক্তির কথা রয়েছে। এদিন ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও মুক্তির কথা রয়েছে।
চুক্তির মূল বিধান লঙ্ঘন প্রসঙ্গে হামাস বলেছে, এটি এমন পর্যায়ে গেছে যেখানে আর দর কষাকষির সুযোগ নেই। ইসরাইলি বন্দিদের আসন্ন মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, শত্রুপক্ষের চুক্তি লঙ্ঘন ও শর্তাবলীর প্রতি তারা যে সম্মতি দেখাচ্ছে না, সেটি প্রতীয়মান। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি। কিন্তু হামাস তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করে চলেছে।
হামাসের ভাষ্য, ইসরায়েল সব বাধ্যবাধকতা ঠিক মতো মেনে চললে বন্দি বিনিময়ের দরজা খোলা। যদি তা না হয়, এটা আপাতত এখানেই শেষ হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
এমজে