ঢাকা, শনিবার, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ০১ মার্চ ২০২৫, ০০ রমজান ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হোয়াইট হাউসে ফিরতে চান জেলেনস্কি, রাজি নন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৫
হোয়াইট হাউসে ফিরতে চান জেলেনস্কি, রাজি নন ট্রাম্প

যুক্তরষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি করতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু সেই কূটনৈতিক সফর শেষ পর্যন্ত রূপ নিল ঐতিহাসিক এক বাকবিতণ্ডায়।

 

২৮ ফেব্রুয়ারির সেই সংবাদ সম্মেলনে রুমজুড়ে ছিল সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা, যারা অবাক বিস্ময়ে দেখলেন, হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে জেলেনস্কি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, কীভাবে এই তিন নেতা উত্তপ্ত তর্কে জড়িয়ে পড়লেন, একে অপরের কথা কাটাকাটি করতে লাগলেন।

অবশেষে কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো না। বরং জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে বলা হলো।

পরে, সাংবাদিকদের সামনে এসে ট্রাম্প বললেন, তিনি মনে করেন না যে জেলেনস্কি সত্যিই শান্তি চান। বরং তিনি পরিস্থিতিকে নিজের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, যা ট্রাম্পের মতে ভুল কৌশল।

ঘটনার পর জেলেনস্কি মার্কিন টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজে কাছে স্বীকার করলেন, তিনি দুঃখিত যে বৈঠকটি এভাবে শেষ হলো। তবে তিনি এখনো বিশ্বাস করেন, দুই দেশের সম্পর্ক রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি বলেন। যদি আপনি জানতে চান কীভাবে এই ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক পরিস্থিতি গড়ে উঠল, তাহলে আমাদের বিস্তারিত কভারেজ দেখে নিতে পারেন।

হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, আলোচনার টেবিলে ফিরতে হলে জেলেনস্কিকে প্রকাশ্যে শান্তি চাওয়ার কথা বলতে হবে। তিনি আরও দাবি করেন, জেলেনস্কি ‘এই মুহূর্তেই’ আবারও হোয়াইট হাউসে আসতে চান, কিন্তু ট্রাম্পের জন্য সেটি সুবিধাজনক নয়।  

ট্রাম্প আরও বলেন, একটি যুদ্ধবিরতি ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ কার্যকর হতে পারে। ‘আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব না’ বলেন তিনি। ‘আমরা হয় এই যুদ্ধ শেষ করব, অথবা তাদের নিজেদের মতো ছেড়ে দেব— দেখব কী হয়, তারা নিজেরাই লড়াই করুক। ’

এদিকে এই  ঐতিহাসিক এক বাকবিতণ্ডা নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া যখন ব্যস্ত তখন ইউক্রেন থেকে খবর আসছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে গত রাতে এক ভয়াবহ  ড্রোন হামলায় সাতজন আহত হয়েছে।

দেশটির জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানায়, হামলার কারণে তিনতলা একটি চিকিৎসা কেন্দ্র আগুনে পুড়ে গেলে রোগীসহ ৬৪ জনকেতড়িঘড়ি করে সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া, শহরের আবাসিক ভবন, একটি শপিং সেন্টার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত রাতে তারা আটটি অঞ্চলে ৪৮টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। অঞ্চল গুলোর মধ্যে  ক্রিমিয়া উপদ্বীপও রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৫
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।