ঢাকা, শুক্রবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীর ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠক, ভয়ঙ্কর শাস্তির বার্তা মোদীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, কলকাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৫
কাশ্মীর ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠক, ভয়ঙ্কর শাস্তির বার্তা মোদীর

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় সংসদ ভবনে সর্বদলীয় বৈঠক করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শুরু হওয়া বৈঠকে বিজেপি, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আমআদমি পার্টি, আরজেডি, শিবসেনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।

বৈঠকের আগে বিকেলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে কি এবার প্রত্যাঘাতের পালা? এমন প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসছে সব মহলে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে অমিত শাহ বা জয়শঙ্কর মুখ খোলেননি। ধারণা করা হচ্ছে, সবকটি রাজনৈতিক দল নিয়ে বৈঠকে বড় কোনো সিদ্ধান্তের নিতে পারে মোদী সরকার।

এর পাশাপাশি নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া গোটা ঘটনা বিস্তারিত জানানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লিতে অবস্থিত জার্মানি, জাপান, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতরা।

এর আগে এদিন বিহারের মধুবনীর জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেছেন, এই হামলা নিরীহ ঘুরতে আসা মানুষের ওপর নয়, এটা আসলে ভারতের আত্মার ওপর হামলা করা হয়েছে। যারা এই হামলা চালিয়েছে, তারা তাদের কল্পনার চেয়েও ভয়ঙ্কর শাস্তি পাবে! ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ইচ্ছাশক্তি রয়েছে। সন্ত্রাসবাদী ও তাদের সহযোগীদের কোমর ভাঙবে ভারত।

মোদী আরও বলেছেন, কোটি কোটি ভারতবাসী আজ শোকাহত। নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে গোটা দেশ। যাদের চিকিৎসা চলছে, তারা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে, এজন্য সরকার সব রকম চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, এই জঙ্গি হামলায় কেউ পুত্রকে হারিয়েছেন, কেউ ভাইকে হারিয়েছেন, কেউ স্বামীকে হারিয়েছেন। তাদের কেউ বাংলায় কথা বলতেন, কেউ কন্নড়ে কথা বলতেন, কেউ ছিলেন মারাঠি, আবার কেউ বিহারের সন্তান। আজ তাদের মৃত্যুতে কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত আমাদের শোক এবং রাগ মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে।

মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নাগরিক রয়েছেন। এ ঘটনার পর তিন বাহিনীকেই সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উচ্চপর্যায়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেই আবহে ভারতের সবচেয়ে বেশি সতর্কতা জারি করা হয়েছে মুম্বাই শহরসহ আশপাশের এলাকাগুলিতে। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই পাঁচটি পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। জলচুক্তি থেকে শুরু করে সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা, ভিসা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৫
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।