পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি সামরিক সূত্রের বরাতে বলছে, হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর কোটলি, বাহাওলপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদসহ একাধিক শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ভারতের হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলেছে পাকিস্তান।
এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে তিনটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার পাশাপাশি দেশটির ভেতরে সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সদরদপ্তর ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি পাকিস্তানের।
ভারত সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। তাদের দাবি ‘এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে অন্তত ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ’
পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ভারতের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে।
এদিকে পাকিস্তানে ভারতের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মুখপাত্র স্তেফান দুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের সামরিক অভিযান নিয়ে মহাসচিব গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জিও টিভিকে জানান, ভারতের হামলায় যেসব স্থাপনায় আঘাত হানা হয়েছে, তার মধ্যে দুটি মসজিদও রয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ জিও টিভিকে বলেন, ভারত যেসব স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণভাবে বেসামরিক এলাকা— কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর অবকাঠামো নয়।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী শিবিরে হামলার যে দাবি ভারত করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আরএইচ