মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা বন্ধ করবে।
গত মঙ্গবার (৮ মে) তিনি বলেন, তারা (হুতি) জানিয়েছে, তারা আর যুদ্ধ করতে চায় না।
এদিকে হুতি নেতারা ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও, তারা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন— গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রাখবেন।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনির সঙ্গে এক যৌথ ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, তারা আত্মসমর্পণ করেছে, আমরা তাদের কথাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। তারা বলেছে, তারা আর জাহাজে আক্রমণ করবে না।
ট্রাম্পের এই ঘোষণা অনেকটা হতবাক করেছে ইসরায়েরিদের। কারণ এই ঘোষণার মাত্র একদিন আগে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানার বিমানবন্দর এবং বন্দরনগরী হোদেইদায় ব্যাপক হামলা চালায়।
এর ফলে হুতি-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন হলেও ইসরায়েলকে হুতি হামলার অনিশ্চয়তা নিয়েই থাকতে হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, হুতিরা যদি ইসরায়েলি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেসামরিক জাহাজ বা সরাসরি ইসরায়েল লক্ষ্য করে চালিয়ে যায়, তবে কেবল বিমান হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল এই হুমকি মোকাবিলা করতে পারবে না।
এদিকে যুদ্ধবিরতির পেছনে মূল ভূমিকা যুক্তরাষ্ট্রের টানা বিমান হামলা নয় বরং ইরানের মধ্যস্থতা বলে দাবি করেছেন দুইজন ইরানি কর্মকর্তা। নিউইয়র্ক টাইমসকে তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনার প্রেক্ষাপটে ইরান হুতিদের হামলা বন্ধ করতে অনুরোধ জানায়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ‘অপারেশন পসেইডন আর্চার’ নামক সামরিক অভিযানের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র হুথি লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।
এমএম