ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৩ মে ২০২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউরোপের তিন শীর্ষ নেতার একসঙ্গে কোকেন সেবন!

সাগর আনোয়ার, জার্মানি থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:২৪, মে ১৩, ২০২৫
ইউরোপের তিন শীর্ষ নেতার একসঙ্গে কোকেন সেবন! জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্স, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

ইউরোপীয় তিন শীর্ষ নেতা—জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্স, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার গত সপ্তাহে এক সঙ্গে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফর করেন। এই সফরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।

যা আলোচনার ঝড় তুলেছে জার্মান রাজনীতি ও গণমাধ্যমে। ভিডিওটিতে বিশ্ব নেতাদের বিরুদ্ধে কোকেন সেবনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

সোমবার (১২ মে) জার্মান গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, এসব দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবুও  ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে ঘটনা পরিষ্কার করতে হচ্ছে।

ভিডিও প্রকাশ ও অভিযোগের সূত্রপাত

ভিডিওটি প্রথমে মার্কিন রেডিও উপস্থাপক অ্যালেক্স জোনস এক্স- এ প্রকাশ করেন। সেখানে দেখা যায়, মার্স, ম্যাক্রোঁ ও স্টারমার একই টেবিলে বসে আছেন। টেবিলের ওপর রয়েছে কিছু কাগজপত্র, পানির গ্লাস ও একটি সাদা বস্তু। জোনস দাবি করেন, এটি কোকেইনের প্যাকেট অন্যটি পাতলা লম্বাটে চামচ যা দিয়ে কোকেইন সেবন করা হয়।  

ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে জোনস দাবি করেন,  ম্যাক্রোঁ সাদা বস্তুটি হাতে নিয়ে সেটিকে হাতের তলায় লুকিয়ে ফেলেন আর মার্স টেবিল থেকে চামচ সদৃশ বস্তুটি সরিয়ে নেন। ভিডিওটি ইতোমধ্যে এক্স- এ প্রায় ১ দশমিক ৯ কোটি বার দেখা হয়েছে।

এমন অভিযোগের পর ফরাসি সরকার ও জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্সের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন- সিডিইউ এর পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জার্মান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে জার্মান গণমাধ্যম ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদের এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে দাবি করা হয়, যখন ইউরোপীয় ঐক্যকে অস্বস্তিকর মনে করা হয়, তখন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে একটি সাধারণ টিস্যুকে মাদক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

সিডিইউও তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, ‘এটি আসলেই একটি রুমাল। গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিগুলো ইউরোপীয় ঐক্য ও সামাজিক সংহতি দুর্বল করতে চাচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার। ’

জার্মানির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাশিয়ান প্রোপাগান্ডা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মাদকসেবী। এবারও ইউক্রেন ও জেলেনস্কিকে অযোগ্য ও অবিশ্বস্ত হিসেবে উপস্থাপন করতে মাদকের মতো নেতিবাচক বিষয় যুক্ত করে জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা হয়েছে।

আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।