ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় চব্বিশ ঘণ্টায় নিহত ১৬৯  

আন্তজার্তিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:০৪, মে ২০, ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় চব্বিশ ঘণ্টায় নিহত ১৬৯   ফাইল ছবি

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর মঙ্গলবার (২০ মে) ভোররাতের সর্বশেষ বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছে। হামলার আগে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুসের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

এদিকে চিকিৎসা সূত্রগুলো জানিয়েছে, আগের দিন সোমবার (১৯ মে) দিনভর ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৮৪ থেকে বেড়ে ১২৬ জনে পৌঁছেছে। যুদ্ধ শুরুর পর এই দিনটি ছিল অন্যতম প্রাণঘাতী, যেখানে সাধারণ জনগণই মূলত হামলার শিকার হয়েছে।

সব মিলিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় চব্বিশ ঘণ্টায় নিহত ১৬৯ হয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপ বাড়ছে ইসরায়েলের ওপর। কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলকে নতুন করে সামরিক অভিযান বন্ধ এবং মানবিক সহায়তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নাগরিকদের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা বন্ধ করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন এবং তা আমরা মেনে নিতে পারি না।

তারা আরও বলেন, পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের যেকোনও উদ্যোগের বিরোধিতা করছি আমরা। প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞাসহ আরও পদক্ষেপ নিতে আমরা পিছপা হবো না।

এই বিবৃতি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে পশ্চিমা শক্তিগুলো গাজায় চলমান সংঘর্ষ নিয়ে ক্রমবর্ধমানভাবে উদ্বিগ্ন এবং তারা অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ ও মানবিক ত্রাণ প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে।

গাজায় ২৩ লাখের বেশি মানুষ এখন বাস্তুচ্যুত, খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসাসেবার চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে এবং বলছে— মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে আর দেরি করা যাবে না।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৩,৩৩৯ জন এবং আহত হয়েছেন ১,২১,০৩৪ জন। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে; ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজারো মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের মৃত বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।