ঢাকা, সোমবার, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৯ জুন ২০২৫, ১২ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের সূত্র ধরে ইলনের নতুন পার্টি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:১৯, জুন ৯, ২০২৫
ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের সূত্র ধরে ইলনের নতুন পার্টি ইলন মাস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পথে হাঁটছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের সূত্র ধরে দেশটির জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি গড়তে চান ‘দ্য আমেরিকা পার্টি’।

এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন তুলেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী (সিইও)।

নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক জরিপে মাস্ক তার ২২ কোটিরও বেশি অনুসারীর কাছে জানতে চান, ‘আমেরিকায় কি এখন এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এসে গেছে, যা মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা ৮০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে?’ প্রায় ৮০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এতে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেন।  

এরপর মাস্ক জানান, ‘মানুষ তাদের মতামত দিয়েছে। আমেরিকায় মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা ৮০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন! এটাই ভাগ্য। ’

এই নতুন দলের নাম হিসেবে মাস্ক প্রস্তাব করেছেন ‘দ্য আমেরিকা পার্টি’। এর নাম অনেকটা সাদৃশ্যপূর্ণ তারই গঠিত সুপার পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (পিএসি) ‘আমেরিকা পিএসি’র সঙ্গে, যা মূলত ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল। জানা যায়, এই পিএসি ট্রাম্পের পক্ষে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।

তবে এখন মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্ক বেশ উত্তপ্ত। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় দাতাদের একজন ছিলেন মাস্ক। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যকার প্রকাশ্য বিরোধ সামাজিক মাধ্যমে তীব্র আকার নিয়েছে।

এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প মাস্ককে সতর্ক করে বলেন, তিনি যদি ডেমোক্র্যাটদের তহবিলে অর্থ দেন, তবে তাকে ‘পরিণতি ভোগ করতে হবে’। যদিও কী ধরনের পরিণতি, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি ট্রাম্প।

মাস্ক এর আগে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন। তবে ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময় তিনি প্রকাশ্যে রিপাবলিকানদের সমর্থন দেন এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। এমনকি সেই সময় ট্রাম্প তাকে ‘সরকারের দক্ষতা বিভাগের (ডজ) প্রধান’ হিসেবে নিযুক্ত করার কথা জানান।

তবে এই সম্পর্কের ছন্দপতন ঘটে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে মাস্কের প্রকাশ্য বিরোধিতায়। মাস্ক বিলটিকে ‘জঘন্য’ বলে মন্তব্য করে ‘কিল দ্য বিল’ হ্যাশট্যাগে প্রচারণাও চালান।

সম্প্রতি, মাস্ক এক পোস্টে দাবি করেন, ট্রাম্প প্রয়াত বিতর্কিত অর্থদাতা জেফ্রি এপস্টাইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। যদিও তিনি কোনও প্রমাণ দেননি এবং পরে ওই পোস্ট মুছে ফেলেন। আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ট্রাম্পকে অভিশংসিত করা উচিত এবং ভ্যান্সকে তার স্থলাভিষিক্ত করা উচিত। ’ সেটিও পরে মুছে ফেলা হয়।

এই পরিস্থিতির মধ্যে মাস্ককে হোয়াইট হাউস ছাড়ার আহ্বান জানান ট্রাম্প। অন্যদিকে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান প্রতিনিধি জিমি প্যাট্রোনিস বলেন, ইলন মাস্ক নতুন কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছেন না। রাজনীতিতে এমন সম্পর্কের উত্থান-পতন স্বাভাবিক। এক মাস পর আবারও তাদের একসঙ্গে দেখা যেতে পারে।

এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।